বৃহস্পতিবার দেশটির সর্বোচ্চ আদালতের সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারক অপরাধীকে কারাগারে পাঠানোর বিধানে পরিবর্তনের পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় এ সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
২০০৩ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট থাকা লুলা দুর্নীতির মামলায় সাজা পেয়ে গত বছর থেকে জেলখানায় আছেন।
গত বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও তারই জয়ের সম্ভাবনা বেশি ছিল বলে বিভিন্ন জনমত জরিপে দেখা গেছে। আদালতের আদেশে কারারুদ্ধ সোশালিস্টের প্রেসিডেন্টের প্রার্থীতা আটকে গেলে সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ‘ব্রাজিলের ডনাল্ড ট্রাম্প’ খ্যাত কট্টর ডানপন্থি জাইর বোলসোনেরো দেশটির শীর্ষ পদে আসীন হন।
সাজাপ্রাপ্ত লুলা শুরু থেকেই তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, তিন বছর আগে সাজা কার্যকর সংক্রান্ত দণ্ডবিধির এক ব্যাখ্যায় দেশটির এক আদালত প্রথম আপিলের পরপরই অপরাধীকে কারাগারে পাঠানোর অনুমতি দেয়।
ব্রাজিলের ‘দীর্ঘ ও ক্লান্তিকর আপিল প্রক্রিয়া’ থেকে কৌঁসুলিদের মুক্তি দিতে এবং অপরাধীদের দণ্ড মেনে নিয়ে সমঝাতার পথে হাঁটতেই ওই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল বলে ধারণা অনেক পর্যবেক্ষকের।
বৃহস্পতিবার দেশটির সর্বোচ্চ আদালতের বিচারকরা ৬-৫ ভোটে ওই ব্যাখ্যা উল্টে দেন। সব ধরনের আপিল নিষ্পত্তির আগে অপরাধীদের কারাগারে পাঠানো যাবে না বলেই মত দেন তারা।
এর ফলে দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত লুলার ছাড়া পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হল; সাবেক এ প্রেসিডেন্টের আইনজীবীরা বৃহস্পতিবারই তার কারামুক্তির আবেদনও জানিয়েছেন।
এদিকে নিয়ম বাতিল হলেও আপিল শেষ না হওয়া অপরাধীরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে জেল থেকে ছাড়া পাবেন না বলে জানিয়েছেন ব্রাজিলের প্রধান বিচারপতি হোসে আন্তনিও দিয়াজ তাফোলি।
মামলা অনুযায়ী কাকে মুক্তি দেওয়া হবে, কাকে হবে না আদালতই তার সিদ্ধান্ত দেবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।