তুরস্কের সিরিয়া অভিযানে হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে

সিরিয়ার উত্তরপূর্বাঞ্চলে কুর্দি-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে তুরস্কের জঙ্গি বিমান ও গোলা হামলায় হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে।

>>রয়টার্স
Published : 11 Oct 2019, 11:38 AM
Updated : 11 Oct 2019, 11:38 AM

অন্তত ১১ বেসামরিক নাগরিকসহ কুর্দি-নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) এবং তুরস্কপন্থি সিরীয় বিদ্রোহী দলের বেশ কয়েকজন যোদ্ধা নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

অভিযানে প্রথম একজন তুর্কি সেনা নিহত এবং তিন সেনা আহত হওয়ার খবরও নিশ্চিত করে জানিয়েছে তুরস্কের সেনাবাহিনী।

শুক্রবার সকালে সিরিয়ার সীমান্ত শহর রাস আল আইন এ হামলা চালিয়েছে তুরস্ক। তাছাড়াও, এদিন রাস আল আইনের দিকে অগ্রসর হয়েছে তুর্কি-মিত্র সিরীয় বিদ্রোহীদের ২০ টি সাঁজোয়া যানের বহর।

তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয়ের হিসাবমতে, তুরস্কের সেনাবাহিনী এবং তাদের মিত্র সিরীয় বিদ্রোহী বাহিনী মিলে বৃহস্পতিবার রাতভর লড়াইয়ে ৪৯ জন কুর্দি মিলিশিয়াকে হত্যা করেছে। এ নিয়ে এপর্যন্ত নিহত হয়েছে মোট ২৭৭ কুর্দি।

বৃহস্পতিবার তুর্কি সেনারা সিরিয়ার রাস আল আইন এবং তাল আবিয়াদ সীমান্ত শহর আংশিক ঘিরে ফেলে। কুর্দি রেড ক্রিসেন্ট সেখানে হামলায় ১১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং ২৮ জন আহত হওয়ার কথা নিশ্চিত করে জানিয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজন শিশুও রয়েছে।

অনদিকে, তুরস্কের সীমান্ত শহরগুলোতেও গোলার আঘাতে এক সিরীয় শিশুসহ অন্তত ৫ নিহত হয়েছে।

সিরিয়ায় যুদ্ধ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ সংগঠন ‘দ্য সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, তুরস্কের অভিযানে কুর্দি-নেতৃত্বাধীন এসডিএফ এর অন্তত ২৯ যোদ্ধা এবং তুর্কি মিত্র সিরীয় বিদ্রোহী গ্রুপের ১৭ যোদ্ধা নিহত হয়েছে।

হতাহতের ঘটনা বাড়তে থাকায় বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালাচ্ছে মানুষ। আন্তর্জাতিক উদ্ধার কমিটি ত্রাণ সংগঠনের হিসাব মতে, ৬৪ হাজার মানুষ এরই মধ্যে পালিয়ে গেছে। আরো ৪ লাখ ৫০ হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হতে পারে বলে জানিয়েছে ত্রাণ সংগঠনগুলো।

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুরস্কের এ অভিযান নিয়ে সমালোচনা বাড়ছে। লড়াই-সহিংসতার মাত্রা বাড়তে থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল থেকে মার্কিন সেনা সরিয়ে নেওয়ার পর বুধবার থেকে সেখানে ‘অপারেশন পিস স্প্রিং’ নামক এ অভিযান শুরু করেছে তুরস্ক।

সিরিয়ার কুর্দি ওয়াইপিজি মিলিশিয়া এবং জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস-এর হুমকি দূর করে তুরস্কে আশ্রয় নেওয়া সিরীয় শরণার্থীদের দেশে ফেরাতে একটি ‘নিরাপদ অঞ্চল’ গঠন করা অভিযানের লক্ষ্য।