জনসন-মেরকেল ফোনালাপ, ঘোর অনিশ্চয়তায় ব্রেক্সিট চুক্তি

ব্রেক্সিটের বাকী আর মাত্র ২৩ দিন। আর এমন সময়েই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মেরকেলের একটি ফোনালাপের পর ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে আরো ঘোর অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

>>রয়টার্স
Published : 8 Oct 2019, 02:48 PM
Updated : 8 Oct 2019, 03:58 PM

জনসনের কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা এ ফোনকলের বিষয়টি সামনে এনেছেন এবং ব্রেক্সিট চুক্তির সুযোগ নস্যাৎ করার অভিযোগ করেছেন মেরকেলের বিরুদ্ধে। বলা হচ্ছে, মেরকেল নর্দান আয়ারল্যান্ডের ভবিষ্যৎ নিয়ে অগ্রহণযোগ্য দাবি তুলছেন।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিট জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে জনসন এবং মেরকেল ৩০ মিনিট ফোনে কথা বলেন। জনসন ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) ব্রেক্সিট চুক্তির জন্য যে নতুন প্রস্তাব দিয়েছেন তা নিয়ে দুইজনের মধ্যে কথা হয়। আর তখনই মেরকেল স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ওই প্রস্তাবের ভিত্তিতে কোনো চুক্তি না হওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল।

মেরকেল বলেছেন,চুক্তি হতে হলে নর্দান আয়ারল্যান্ডকে ইইউ এর কাস্টমস ইউনিয়নে থাকতে হবে। কিন্ত জনসন তার প্রস্তাবে বলেছিলেন,যুক্তরাজ্যের বাদবাকী অংশের মতো নর্দান আয়ারল্যান্ডও ২০২১ সালের শুরুতে ইইউ-এর কাস্টমস ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাবে।

ইইউ জনসনের দেওয়া সর্বশেষ ব্রেক্সিট প্রস্তাবে শীতল প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল আগেই। আর এখন জনসনের প্রস্তাবের বিপরীত যে দাবি মেরকেল করেছেন তার সঙ্গে ইইউ’ও সহমত হয়ে থাকলে ব্রেক্সিট চুক্তি কেবল এ  মুহূর্তেই নয় বরং কোনোসময়ই আর হওয়া ‘সম্ভব নয়’ বলে জানিয়েছে ১০ ডাউনিং স্ট্রিট।

ব্রেক্সিট চুক্তির আশা মেরকেল ধুলিস্যাৎ করছেন বলেও ডাউনিং স্ট্রিট তাকে দোষারোপ করেছে। ইইউ এর শীর্ষ কর্মকর্তারাও এর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাজ্যকে বোকার মত দোষাদুষির খেলায় না নামার ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছেন।দোষাদুষি করতে গিয়ে ইউরোপ ও যুক্তরাজ্যর পাশাপাশি জনগণের নিরাপত্তা এবং স্বার্থর বিষয়টি যাতে ঝুঁকিতে না পড়ে সে বিষয়ে সতর্ক করেছেন তারা।

যুক্তরাজ্যের ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার (ব্রেক্সিট) নির্ধারিত দিন হচ্ছে ৩১ অক্টোবর। তার আগেই ১০ দিনের নিবিড় আলোচনার মধ্য দিয়ে ইইউ এর সঙ্গে ব্রেক্সিট চুক্তি চূড়ান্ত করার আশা নিয়ে যুক্তরাজ্য সরকার গত সপ্তাহে নতুন প্রস্তাব দেয়।

রয়টার্স জানিয়েছে,ডাউনিং স্ট্রিটের আরেক কর্মকর্তা বলেছেন,ইইউ আপোস করে খুব শিগগিরই একটি ব্রেক্সিট চুক্তি না করলে যুক্তরাজ্য চুক্তি ছাড়াই ব্রেক্সিট সম্পন্ন করবে।