সিরিয়ায় তুরস্কের অভিযানে ‘সমর্থন দেবে না যুক্তরাষ্ট্র’

সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে একটি ‘নিরাপদ এলাকা’ গড়তে তুরস্কের সামরিক অভিযানে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন দেবে না বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Oct 2019, 09:02 AM
Updated : 7 Oct 2019, 09:02 AM

কুর্দি অধ্যুষিত অঞ্চলটিতে আঙ্কারার এ অভিযানে অংশগ্রহণ কিংবা হস্তক্ষেপ করা হবে না বলেও আশ্বস্ত করেছে তারা।

ইউফ্রেতিস নদীর পূর্ব অংশে ‘নিরাপদ এলাকা’ গঠনের পরিকল্পনা নিয়ে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোয়ান ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের টেলিফোন কথোপকথনের পর রোববার হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি স্টেফানি গ্রিশামের বিবৃতিতে ওয়াশিংটনের নতুন এ অবস্থানের বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

এর আগে শনিবার এরদোয়ান উত্তরপূর্ব সিরিয়ায় সামরিক অভিযান ‘অনিবার্য’ হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্ক একসঙ্গে ওই এলাকায় একটি ‘নিরাপদ এলাকা’ গড়ার পরিকল্পনা করলেও ওয়াশিংটন তা আটকে দিচ্ছে আঙ্কারার এমন অভিযোগের মধ্যেই তুর্কি প্রেসিডেন্ট এ মন্তব্য করেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

তুরস্ক দীর্ঘদিন ধরেই সিরিয়ার কুর্দি ওয়াইপিজি গেরিলাদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের হুমকি দিয়ে আসছিল; এ গেরিলারা তুরস্কে নিষিদ্ধ কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে অভিযোগ আঙ্কারার।

সিরিয়ায় মধ্যপ্রাচ্যভিত্তি জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটকে পরাজিত করার পেছনে ওয়াইপিজি যোদ্ধাদের বড় ধরনের ভূমিকা আছে। আইএসবিরোধী ওই লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্র এ কুর্দি গেরিলাদের প্রশিক্ষণ ও সামরিক সহায়তা দিয়েছিল।

ওয়াশিংটন এর আগে ওয়াইপিজির বিরুদ্ধে তুরস্কের যে কোনো অভিযানের ব্যাপারে আঙ্কারাকে হুঁশিয়ার করেছিল।

সাম্প্রতিক সময়ে তারা যে তাদের আগের অবস্থান থেকে সরে এসেছে, এরদোয়ানকে অভিযান চালানোর পথ করে দেওয়ার মধ্য দিয়ে তার ইঙ্গিত মিলল, বলছেন পর্যবেক্ষকরা।

“তুরস্ক শিগগিরই উত্তর সিরিয়ায় তার দীর্ঘ-পরিকল্পিত অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে। মার্কিন সশস্ত্র বাহিনী এই অভিযানে সমর্থন দেবে না কিংবা জড়িত হবে না। আইএসের ‘খিলাফত’ ধ্বংসকারী মার্কিন বাহিনী (তুরস্কের অভিযান চালানো) এলাকাটির আশপাশেও থাকবে না,” বিবৃতিতে বলেছেন হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি গ্রিশাম।

এ বিবৃতির তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এরদোয়ানের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন বলেছেন, সিরিয়ার অখণ্ডতার কাঠামোর মধ্যেই তারা এই ‘নিরাপদ এলাকা’ প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করছেন।

“নিরাপদ এলাকার দুটি উদ্দেশ্য: সন্ত্রাসী উপাদানগুলোকে দূরে সরিয়ে আমাদের সীমান্তকে নিরাপদ রাখা এবং শরণার্থীদের নিরাপদে সিরিয়ায় পুনর্বাসনের পথ করে দেওয়া। তুরস্ক শক্তিশালী ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ,” টুইটারে লিখেছেন তিনি।

আঙ্কারা বলছে, তারা ইউফ্রেতিসের ওই পূর্ব অংশে ২০ লাখ সিরীয় শরণার্থীর পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে চায়।

তুরস্ক ৮ বছরের গৃহযুদ্ধে সিরিয়া থেকে পালিয়ে আসা প্রায় ৩৬ লাখ শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা।