শনিবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, খাও ইয়াই জাতীয় উদ্যানে ঝর্ণার উপর থেকে একটি বাচ্চা হাতি পিছলে পড়ে গেলে সেটিকে উদ্ধার করতে গিয়ে একে একে আরও সাতটি হাতি নিচে পড়ে যায়।
বাচ্চাসহ ছয়টি হাতি সেখানেই মারা যায়। দুটি কোনো রকমে প্রাণে রক্ষা পায়।
বেঁচে যাওয়া হাতি দুটি ঝর্ণার পাশে সরু খাঁড়িতে উঠে প্রাণপণে জীবন রক্ষার চেষ্টা করছিল। দেখতে পেয়ে উদ্যানের কর্মকর্তারা তাদের দড়ি দিয়ে বেঁধে টেনে উপরে তোলেন।
যে ঝর্ণাতে হাতিগুলো পড়ে যায় সেটির নাম ‘হেউ নারক’। ওই ঝর্ণায় এ ধরনের দুর্ঘটনা খুব একটা ঘটে না।
তার তিন ঘণ্টা পর তিন বছর বয়সের বাচ্চা হাতিটির মৃতদেহ নিচে ঝর্ণার পানিতে খুঁজে পাওয়া যায়। বাকি পাঁচটি হাতির মৃতদেহও আশপাশেই খুঁজে পান কর্মকর্তারা।
বেঁচে যাওয়া হাতি দুইটির চিকিৎসা চলছে এবং সেগুলোকে সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
থাইল্যান্ডে প্রায় সাত হাজার এশিয়ীয় হাতির বাস। যেগুলোর অর্ধেকের বেশি নান উদ্যানে বা অভয়াশ্রমে বন্দি রয়েছে।