ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসন তদন্ত গতি পাচ্ছে

ইউক্রেইন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কংগ্রেস কমিটিতে সাক্ষ্য, ব্রিফিং ও শুনানির মধ্য দিয়ে গতি পাচ্ছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অভিশংসন তদন্ত।

>>রয়টার্স
Published : 2 Oct 2019, 03:33 PM
Updated : 2 Oct 2019, 03:55 PM

হোয়াইট হাউজের সাবেক দুই কর্মকর্তা যারা ইউক্রেইনের সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের যোগাযোগে যুক্ত ছিলেন তাদের সাক্ষ্য দিতে ডেকেছে কংগ্রেশনাল কমিটি।

ওই কমিটি প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীর ক্ষতি করতে বিদেশি সরকারের কাছে সাহায্য চাওয়ার অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করছে। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে ট্রাম্পকে অভিশংসনের মুখে পড়তে হবে।

এ সপ্তাহেই কমিটির শুনানি শুরু হওয়ার কথা। এছাড়া, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিদর্শক স্টিভ লিনিক বুধবার ওয়াশিংটন ডি সি’র ক্যাপিটল ভবনে কংগ্রেস সদস্যদের ব্রিফিংয়ে ডেকেছেন।

মন্ত্রিসভার সদস্য, প্রতিনিধি পরিষদের বৈদেশিক বিষয় এবং বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক কর্মকর্তা এবং গোয়েন্দা কর্মকর্তাসহ আরো কয়েকটি কমিটির কর্মকতারা ওই ব্রিফিংয়ে উপস্থিত থাকবেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বুধবার এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

সম্প্রতি ফাঁস হওয়া এক গোয়েন্দা তথ্যে ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভ্লদিমির জেলেনস্কির কথোপকথন উঠে আসে। যদিও দুই নেতার মধ্যে ঠিক কী কথা হয়েছে তা এখনো সুস্পষ্ট করে জানা যায়নি।

তবে ডেমক্র্যাটদের অভিযোগ, ট্রাম্প সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং তার ছেলে হান্টারের বিরুদ্ধে উঠা একটি দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করতে ইউক্রেইন সরকারকে চাপ দিয়েছেন। কথা মত কাজ না করলে ট্রাম্প এমনকি দেশটিকে দেওয়া মার্কিন সামরিক সহায়তা প্রত্যাহার করে নেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন।

ডেমোক্রেটিক নেতা এবং আগামী বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সম্ভাব্য শক্ত প্রতিপক্ষ বাইডেনকে নিয়ে ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলাপ করার কথা স্বীকার করলেও কোনো ষড়যন্ত্র তিনি করেননি বলে দাবি করেছেন ট্রাম্প।

ট্রাম্পের দাবি, “সামরিক সাহায্য প্রত্যাহারের হুমকি দিয়ে আমি শুধুমাত্র ইউরোপের দেশগুলো থেকে সহায়তার হার বাড়ানোর চেষ্টা করেছিলাম।”

গত জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে হওয়া ওই ফোনালাপের সব তথ্য হোয়াইট হাউসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা গোপন করার চেষ্টা করেছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেট মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে জনমত জরিপে বাইডেন অনেকদিন ধরেই এগিয়ে রয়েছেন। তাকে আটকাতেই ট্রাম্প ক্ষমতার অপব্যবহার করে জেলেনস্কিকে ওই চাপ দিয়েছিলেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।