গণচীনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর বিরুদ্ধে মঙ্গলবার হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ শুরু করলে পুলিশ টিয়ার গ্যাসের শেল ও রবার বুলেট ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার চেষ্টা করে। অন্যদিকে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের দিকে পেট্রোল বোমা ছোড়ে বলে জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এদিন এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ এ বাণিজ্য নগরীর সুয়েন ওয়ান শহরে বিক্ষোভের সময় ১৮ বছরের এক বিক্ষোভকারী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে বিবিসিকে নিশ্চিত করেছে পুলিশ। গুলি ওই তরুণের বুকে লেগেছে।
টানা আন্দোলনের মুখে ওই বিল প্রথমে ‘মৃত’ এবং পরে বাতিল ঘোষণা করা হলেও আন্দোলন থামেনি। বরং গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনকারীরা এখন হংকংয়ের চীনপন্থি সরকারের পদত্যাগ দাবি করছে।
আন্দোলনের বয়স তিন মাস পেরিয়ে গেলেও মঙ্গলবারের আগে সেখানে গুলিবিদ্ধের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে জানায় বিবিসি।
মঙ্গলবারের গুলিবিদ্ধের ঘটনার একাধিক ভিডিও অনলাইনে ঘুরছে। তার একটিতে এক তরুণকে মেঝেতে পড়ে থাকতে এবং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করতে দেখা যাচ্ছে। বিবিসির ভিডিওগুলোর সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।
“আমরা জানি না সে এখন কী অবস্থায় আছে। ভিডিওতে তাকে কাতরাতে দেখে আমরা রীতিমত আতঙ্ক বোধ করছি।
“আমি জানতাম সে একজন সক্রিয় আন্দোলনকারী। কিন্তু আমি তাকে কখনোই আন্দোলনকারীদের প্রথমসারিতে দেখিনি।”
পুলিশ শিগগিরই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ওই তরুণের অবস্থা জানাবে বলেও জানায় বিবিসি।
বিশাল আয়োজনের মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট সরকার তাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করে।
কমিউনিস্ট পার্টির লাল ফৌজ রক্তাক্ত একটি গৃহযুদ্ধে জয় পাওয়ার পর ১৯৪৯ সালের ১ অক্টোবর মাও দে জং গণচীন প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন।
গণচীনের এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে মঙ্গলবার রাজধানী বেইজিংয়ের কেন্দ্রস্থলে ইতিহাসের অন্যতম বৃহৎ সামরিক কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।
সংক্ষিপ্ত উদ্বোধনী ভাষণে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, “এ পর্যন্ত কোনো শক্তিই চীনা জনতা ও জাতির অগ্রযাত্রা রুদ্ধ করতে পারেনি।”
বেইজিংয়ের কেন্দ্রস্থল তিয়ানআনমেন স্কয়ারে ১৫ হাজার সেনা কুচকাওয়াজে অংশ নেয় ও চীনের সর্বাধুনিক সামরিক প্রযুক্তির প্রদর্শনী করা হয়।।