ব্রাজিলের পরিবেশ সংস্থা আইবামা জানিয়েছে, এরই মধ্যে ওই তেল পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে, এটি ব্রাজিলে উৎপন্ন হয় না এমন এক ধরনের তেল।
ছড়িয়ে পড়া এ তেলে এখন পর্যন্ত কোনো মাছ দূষণের শিকার হওয়ার আলামত না পাওয়া গেলেও মৃত অন্তত ছয়টি সামুদ্রিক কচ্ছপ এবং পাখি পাওয়া গেছে।
তেল ছড়িয়ে পড়া এলাকাগুলো পরিষ্কার করার কাজ চলছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
সৈকতে ছড়ানো তেল প্রথম নজরে আসে ২ সেপ্টেম্বরে। সে সময় আটটি রাজ্যের ১০৫ টি স্থানে ১৫শ’ কিলোমিটার জুড়ে তেল পাওয়া যায়। এতে জনপ্রিয় সমুদ্র সৈকতগুলোসহ প্রাণীরাও দূষণের শিকার হয়েছে।
তেল পরীক্ষা-নিরীক্ষায় এটি ব্রাজিল নয় বরং অন্য কোনোখান থেকে এসেছে বলে ধারণা পাওয়া গেলেও সেটি কোথা থেকে এসেছে তা চিহ্নিত করা যায়নি।
কর্তৃপক্ষের ধারণা, উপকূল থেকে দূরে তেল বহনকারী কোনো ট্যাংকার থেকে এ তেল ছড়িয়েছে। একটি রাজ্যের দুটি সমুদ্র সৈকতে তেলের দুটি ব্যারেলও পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
পরিবেশ সংস্থা আইবামার সমন্বয়ক ফারনান্দা পিরিল্লো বলেছেন, “আমরা ব্রাজিলে এমন দুর্ঘটনা কখনো দেখিনি... এই প্রথম আমরা এতগুলো রাজ্যে কোনো একটা অজ্ঞাত স্থান থেকে তেল ছড়ানোর মতো এরকম দুর্ঘটনা দেখতে পাচ্ছি।”