‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস’ প্রথম এই তথ্য ফাঁসকারীকে (হুইশেলব্লোয়ার) সিআইএ কর্মকর্তা হিসাবে চিহ্নিত করেছে। তবে তার নাম প্রকাশ করা হয়নি। অজ্ঞাতনামা এই কর্মকর্তা এক সময় হোয়াইট হাউজে কাজ করতেন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি পত্রিকা।
তথ্য ফাঁসকারী ওই কর্মকর্তার অভিযোগের ভিত্তিতেই মূলত এ সপ্তাহে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের ডেমোক্র্যাটরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিশংসন তদন্ত শুরু করেছে।
কর্মকর্তার অভিযোগ ছিল, ট্রাম্প একটি ফোনকলে তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ জো বাইডেন এবং বাইডেনের ছেলে হান্টারের বিরুদ্ধে তদন্ত করার জন্য ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভ্লদিমির জেলেনস্কিকে চাপ দিয়েছেন।
তাছাড়া, বৃহস্পতিবার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে ওই কর্মকর্তা এও অভিযোগ করেন যে, ট্রাম্প তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে ইউক্রেইনকে তার কথা মানার জন্য চাপ দিয়েছেন এবং হোয়াইট হাউজ ট্রাম্পের এই অপকর্ম এবং ফোনালাপের বিস্তারিত তথ্য ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
এর প্ররিপ্রেক্ষিতে ডেমোক্র্যাটরা অভিযোগ তুলে বলেছেন, ট্রাম্প ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বাইডেনকে ঘায়েল করতে অবৈধভাবে বিদেশের সাহায্য চেয়েছেন এবং এ পুরো বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার ঘটনায়ও তিনি জড়িত।
তবে ট্রাম্প ভুল কোনোকিছু করার কথা অস্বীকার করেছেন এবং ডেমোক্র্যাটদের তদন্তকে তার বিরুদ্ধে ‘উইচ হান্ট’ আখ্যা দিয়েছেন।
সাংবাদিকদেরকে ট্রাম্প বলেছেন, “ডেমোক্র্যাটরা এ দেশের যা করছে তা লজ্জাজনক। এটি হতে দেওয়া যায় না। তাদের এ তৎপরতা বন্ধের কোনো রাস্তা তো থাকা উচিত। সেটা হয়ত হতে পারে আইনিভাবে আদালতের মাধ্যমে।”