ইন্দোনেশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ মালুকুতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত ২০ জন নিহত ও বহু ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় ভোরে অনুভূত এ ভূমিকম্পটিকে প্রাথমিকভাবে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার বলে চিহ্নিত করা হয়েছিল, কিন্তু এর মাত্রা ৬ দশমিক ৫ ছিল বলে পরে জানিয়েছে দেশটির জিওফিজিক্স এজেন্সি।
ভূমিকম্পটির উৎপত্তি প্রাদেশিক রাজধানী আমবোন থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে বলে দেশটির দুর্যোগ সংস্থার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এ ভূমিকম্পে সুনামির সম্ভাবনা নাকচ করেছে জিওফিজিক্স এজেন্সি।
ভূমিকম্পের সময় আমবোনের ঘুমন্ত বাসিন্দারা জেগে ওঠে। আতঙ্কিত অবস্থায় বাইরে বের হয়ে সুনামির শঙ্কায় তারা পাহাড়ের দিকে ছুটে যায়।
রয়টার্সের হয়ে কাজ করা প্রত্যক্ষদর্শী ক্যামেরাম্যান বেনি বুগিস প্রাথমিকভাবে স্থানীয় একটি ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় তলার একটি অংশ ভেঙে পড়ে একজন নিহত এবং আরো দুইজন আহত হওয়ার খবর জানিয়েছিলেন।
পরে আমবোনের দুর্যোগ সংস্থার (বিএনপিবি) মুখপাত্র অগাস উইবোয়ো জাকার্তায় সাংবাদিকদেরকে ভূমিকম্পে ২০ জনের প্রাণহানির খবর জানিয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আসা ভিডিও ফুটেজে, আল আনসার ইসলামিক বোর্ডিং স্কুলের মেঝেতে খসে পড়া প্লাস্টার, ভেঙে পড়া বিভিন্ন টুকরাটাকরা পড়ে থাকতে দেখা গেছে। এখানে কারো আঘাত পাওয়ার কোনো খবর হয়নি বলে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন।
আরেকটি ভিডিওতে একটি গাড়ির শোরুমের ভেঙে পড়া গ্লাস ও ভবনে বড় ধরনের ফাটল দেখা গেছে।
বিশ্বের অন্যতম ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চল প্যাসিফিক রিং অব ফায়ারের (প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলা) ওপর অবস্থানের কারণে ইন্দোনেশিয়ায় প্রায়ই বড় ধরনের ভূমিকম্প হয়।
গত বছর মালুকুর পশ্চিমে সুলাওয়েসি দ্বীপে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার এক ভয়াবহ ভূমিকম্পে পালু শহর বিধ্বস্ত হয়। ভূমিকম্পের পর শহরটিতে সুনামি আঘাত হানে। এতে চার হাজারেরও বেশি লোকের মৃত্যু হয়।
এর আগে ২০০৪ সালে সুমাত্রা দ্বীপের উপকূলে সাগরের তলদেশে সংঘটিত এক ভূমিকম্পে পর সৃষ্ট সুনামিতে ভারত মহাসাগরের উপকূলজুড়ে ১৪টি দেশের দুই লাখ ২৬ হাজার লোক নিহত হয়েছিল, তাদের মধ্যে এক লাখ ২০ হাজার জন ছিল ইন্দোনেশিয়ার।