সৌদি তেলক্ষেত্রে হামলায় এবার ইরানকে দায়ী করল যুক্তরাজ্য

যুক্তরাষ্ট্র এবং সৌদি আরবের পর এবার যুক্তরাজ্যও আরামকোর দুইটি তেলক্ষেত্রে হামলার পেছনে ইরান জড়িত বলে ধারণা প্রকাশ করেছে।

>>রয়টার্স
Published : 23 Sept 2019, 01:41 PM
Updated : 23 Sept 2019, 01:59 PM

এ হামলার প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে যুক্তরাজ্য যৌথভাবে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

সোমবার নিউ ইয়র্কে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “এখন পর্যন্ত আমাদের বিশ্বাস ইরানই এই হামলা চালিয়েছে।”

“ওই হামলা ঘিরে পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে তা কমিয়ে আনতে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণে আমরা আমাদের আমেরিকান বন্ধু এবং ইউরোপের বন্ধুদের সঙ্গে মিলে কাজ করব।”

গত ১৪ সেপ্টেম্বর সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি আরামকোর দুইটি তেল ক্ষেত্রে ড্রোন হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

ওই হামলার পর বিশ্বের সবচেয়ে বেশি তেল রপ্তানিকারক দেশ সৌদি আরবের দৈনিক তেল উৎপাদন অর্ধেকের বেশি হ্রাস পেয়েছে। যার প্রভাবে আন্তর্জাতিক বাজারেও তেলের দাম বেড়ে গেছে।

ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা ওই হামলার দায় স্বীকার করলেও যু্ক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব তা আগেই উড়িয়ে দিয়েছে। এবার যুক্তরাজ্যও তাদের সুরে সুর মেলাল।

এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যের এক কর্মকর্তা বলেন, হুতিরা যে দাবি করছে তা ‘অবাস্তব’। “যে মাত্রায়, যতটা চতুরতার সঙ্গে এবং যতটা দূর থেকে নিখুঁতভাবে এ হামলা হয়েছে তা হুতিদের পক্ষে সম্ভব নয়।”

ওই হামলার পর ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্য কোনো সামরিক অভিযানের অংশীদার হবে কিনা এমন প্রশ্নের জাবাবে জনসন বলেন, “সৌদি আরবের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরো নিখুঁত করতে যুক্তরাষ্ট্র দেশটিতে সেনা মোতায়েনের যে ঘোষণা দিয়েছে আমরা তা গভীর মনযোগে পর্যবেক্ষণ করছি।”

“আরো পরিষ্কারভাবে বললে, যদি সৌদি আরব বা যু্ক্তরাষ্ট্র আমাদের কাছে কোনো সাহায্য চায় তবে আমরা কিভাবে সেটা করা যায় তা নিয়ে ভাবব।”

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে বিশ্বের বেশিরভাগ নেতাই এখন নিউ ইয়র্কে অবস্থান করছেন।

ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানিও সেখানে গেছেন। সম্মেলনের ফাঁকে রুহানির সঙ্গে পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে ইরানের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করবেন বলেও জানিয়েছেন জনসন।

এছাড়া, ইরানে আটক যুক্তরাজ্যের কয়েকজন দ্বৈত নাগরিকের মুক্তির বিষয়েও তিনি কথা বলবেন। যাদের তার ভাষায় ‘অবৈধ এবং অন্যায্যভাবে’ আটকে রাখা হয়েছে।