নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন কর্মকর্তারা ওয়াশিংটনের অবস্থানের পক্ষে নিউ ইয়র্ক টাইমস, এবিসি ও বার্তা সংস্থা রয়টার্সের কাছে যুক্তিও তুলে ধরেছেন বলে বিবিসি জানিয়েছে।
তেহরান শনিবারের ওই ড্রোন হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে।
বিশ্বের সর্ববৃহৎ তেল রপ্তানিকারক দেশের গুরুত্বপূর্ণ ওই দুটি প্ল্যান্টে হামলায় বৈশ্বিক তেল সরবরাহ পাঁচ শতাংশেরও বেশি হ্রাস পেয়েছে। সোমবার থেকে তেলের বাজারও চড়া বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।
ইয়েমেনের ইরানঘনিষ্ঠ হুতি বিদ্রোহীরা হামলার দায় স্বীকার করে নিলেও অনামা মার্কিন কর্মকর্তারা হামলাটি যে দিক থেকে চালানো হয়েছে ও এর ব্যাপ্তি বিবেচনায় এর সঙ্গে হুতিদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
সৌদি তেল শিল্পক্ষেত্রের কেন্দ্রস্থলে হামলাটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিক থেকে হয়েছে, যেটি দক্ষিণে ইয়েমেনের হুতি নিয়ন্ত্রিত কোনো এলাকা নয় বলে দাবি করেছেন এক মার্কিন কর্মকর্তা।
হামলায় ১৯টি ‘পয়েন্ট অব ইমপ্যাক্ট’ পাওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
ইয়েমেনের হুতি নিয়ন্ত্রিত এলাকা সৌদি তেল শিল্পক্ষেত্রের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত।
আবকাইক তেল শোধনাগার প্লান্টের ক্ষতিগ্রস্ত একটি ট্যাংকের ক্লোজ-আপ ছবিতে পশ্চিম দিকের ‘ইমপ্যাক্ট পয়েন্ট’ দেখা যাচ্ছে বলে বিবিসি জানিয়েছে।
শনিবারের হামলায় ড্রোনের পাশাপাশি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রও ব্যবহৃত হয়ে থাকতে পারে বলে কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে।
যদিও সব মারণাস্ত্রই আবকাইক ও খুরাইস তেল ক্ষেত্রে আঘাত হানেনি, বলছেন তারা।
হামলায় ইরানের জড়িত থাকার বিষয়টি ট্রাম্প অবগত আছেন বলে ঊর্ধতন এক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে এবিসি।
এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও সৌদিতে হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করলেও এর পক্ষে কোনো প্রমাণ দাখিল করেননি।
তেহরান তাৎক্ষণিকভাবে ওই অভিযোগ অস্বীকার করার পাশাপাশি ওয়াশিংটনকে উল্টো ‘ধোঁকাবাজির’ দায়ে অভিযুক্ত করে।
রোববার এক টুইটে ট্রাম্প সরাসরি ইরানের নাম না নিলেও হামলার মূল হোতার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরপরই তাদের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।