দাবানল নিয়ে ইন্দোনেশিয়া-মালয়েশিয়া পরস্পর দোষারোপ

সুমাত্রা ও বর্নেও দ্বীপাঞ্চলে দাবানল নিয়ে দুই প্রতিবেশী ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া পরস্পরকে দোষারোপ করছে।

>>রয়টার্স
Published : 14 Sept 2019, 09:21 AM
Updated : 14 Sept 2019, 09:31 AM

ওই অঞ্চলে দাবানলের ধোঁয়া সীমান্ত পেরিয়ে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরসহ বিস্তৃত এলাকার আকাশ ছেয়ে যাওয়ায় অনেক স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। স্বাস্থ্য ঝুঁকি বিবেচনায় জারি করা হয়েছে রেড এলার্ট।

ইন্দোনেশিয়া বলছে, তাদের ভূখণ্ডের জঙ্গলে আগুন জ্বললেও ওইসব ভূমির অনেকগুলোই মালয়েশিয়ার বিভিন্ন কোম্পানির অধীনে।

তাই অন্য দেশের দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার যে দাবি মালয়েশিয়া করছে তা অবান্তর বলে উড়িয়ে দেন ইন্দোনেশিয়ার পরিবেশমন্ত্রী সিতি নূরবায়া বকর।

মালয়েশিয়ার বিস্তৃত এলাকায় দাবানলের ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ায় চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছে শিশুরা।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে শুক্রবার তিনি বলেন, ইন্দোনেশিয়ার যেসব অঞ্চলে দাবানল জ্বলছে তার অনেকগুলোই মালয়েশিয়ার বিভিন্ন কোম্পানির পাম ওয়েল প্ল্যান্টেশনের অংশ।

“সেখানে অন্তত চারটি মালয়েশীয় কোম্পানির পাম বাগান আছে।”

দাবানল শুরু হওয়ার পর তারা ওই কোম্পানিগুলোর বাগান বন্ধ করে দিয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।

“আমরা যে কয়টি বাগান বন্ধ করে দিয়েছি সেগুলোর সবই বিদেশি কোম্পানির মালিকানায়।”

মন্ত্রী যে চারটি মালয়েশীয় কোম্পানির পাম বাগানে আগুন জ্বলার কথা বলেছেন সেগুলোর মধ্যে দুইটির কর্মকর্তারা বলেন, আগুনের কারণে তাদের কোনো বাগান বন্ধ করা হয়নি। তবে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন কুয়ালালামপুরের আকাশ। দিনের বেলাতেও তাই সূর্যের দেখা মিলছে না।

তৃতীয় কোম্পানি তাদের বাগানে আগুন লাগার তথ্য নিশ্চিত করেছে। চতুর্থ কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় গ্রীষ্মে বনাঞ্চলে দাবানল নিয়মিত ঘটনা। অনেক সময় কৃষি কাজের জন্য বা পাম ওয়েল প্ল্যান্টেশনের জন্যও বনে আগুন দিয়ে জমি পরিষ্কার করা হয়।

দাবানলের কারণে বিস্তৃত অঞ্চলে ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ায় সেখানে বাসিন্দারা মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েন। পর্যটনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।