কাশ্মীরে ‘গণহত্যার’ শঙ্কা বাড়ছে, সতর্কবার্তা পাকিস্তানের

কাশ্মীরে ভারতের ‘অবৈধ সামরিক দখলদারিত্বে’ সেখানে ‘গণহত্যা’ আসন্ন হয়ে উঠছে বলে জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে সতর্কবার্তা দিয়েছে পাকিস্তান।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Sept 2019, 02:10 PM
Updated : 10 Sept 2019, 02:25 PM

সুইৎজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি।

মঙ্গলবার সেখানেই তিনি ওই সতর্কবার্তা দিয়ে বলেন, “ভারত-অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে প্রতিটি শহর, পর্বত, সমতল কিংবা উপত্যকার আকাশে-বাতাসে আজ হাহাকার আর বিষাদেরই প্রতিধ্বনি। সেখানকার পরিস্থিতি রুয়ান্ডা, স্রেব্রেনিৎসা (গণহত্যা), রোহিঙ্গা, কিংবা গুজরাটের সেই ভয়াবহ দাঙ্গার মত ঘটনার আশঙ্কাই জাগিয়ে তোলে।”

“ভারত-অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের মানুষ সবচেয়ে খারাপ পরিণতিটাই আঁচ করতে পারছে...গণহত্যা শব্দটা উচ্চারণ করতে আমি শিউরে উঠি, ‍কিন্তু আমাকে একথাটাই বলতে হচ্ছে...অধিকৃত ওই অঞ্চলের কাশ্মীরি জনগণ একটি জাতি, বর্ণ, জাতিগত এবং ধর্মীয় গোষ্ঠী হিসাবে এক খুনি, বিদ্বেষী এবং অসহিষ্ণু শাসকগোষ্ঠীর কাছ থেকে তাদের জান, মালের গুরুতর হুমকির মুখে আছে।”

পাকিস্তানের এ বক্তব্যে ভারত জাতিসংঘ পরিষদে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

গত ৫ অগাস্ট সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। তার একদিন আগে থেকেই পুরো কাশ্মীর নিরাপত্তা বলয়ে ঘিরে ফেলা হয়। এখনো কার্যত অবরুদ্ধ ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীর। গত রোববার সেখানে কয়েকটি স্থানে ফের কারফিউ জারি হয়েছে।

জেনেভায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কুরেশি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনি ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় কোনো চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন না। চলমান উত্তেজনা প্রশমনে সহায়তা করার জন্য তিনি জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে আহ্বান জনান।

তিনি বলেন, “আজ (কাশ্মীরের) ৮০ লাখ মানুষ বন্দি জীবন কাটাচ্ছে। তারা আজ সব রাজনৈতিক এবং নাগরিক অধিকার বঞ্চিত। বিশ্ব চুপ করে বসে থাকতে পারে না এবং তা করা উচিতও নয়। তারা চুপ করে বসে থাকলে অপরাধের ভাগী হবে।”