পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশি শনিবার এ কথা ঘোষণা করেছেন বলে জানিয়েছে ডন।
কাশ্মীর উপত্যকার লোকজনের ওপর ভারতের ‘ধারাবাহিক নিপীড়নের’ কারণে কোবিন্দকে আকাশসীমা ব্যবহার করতে না দেওয়ার এ সিদ্ধান্ত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান অনুমোদন করেছেন বলে কোরেশি পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম পিটিভিকে জানিয়েছেন।
কাশ্মীরে নয়া দিল্লির ‘বর্বরতা একটি গুরুতর ইস্যু’ মন্তব্য করে বিষয়টি জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে তুলতে পারেন বলে জানিয়েছেন কোরেশি।
জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার আগ থেকে সেখানে ভারতীয় কর্তৃপক্ষগুলোর আরোপ করা কারফিউয়ের মধ্যে ৩৪ দিন পার হয়ে গেছে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
কাশ্মীরে ভারতের পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান ‘সংযম’ দেখিয়ে আসছে, কিন্তু নয়া দিল্লি ‘একগুঁয়েমীতা বজায় রেখে’ কাশ্মীর উপত্যকার বাসিন্দাদের মৌলিক চাহিদাগুলোও অস্বীকার করে আসছে বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
“এই বিবেচনায়, ভারতের রাষ্ট্রপতিকে আমাদের আকাশসীমা ব্যবহার করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমরা,” পিটিভিকে বলেছেন কোরেশি।
ভারতের এনডিটিভি জানিয়েছে, সোমবার থেকে শুরু হওয়া ত্রিদেশীয় এক সফরে প্রেসিডেন্ট কোবিন্দের আইসল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড ও স্লোভেনিয়া যাওয়ার কথা রয়েছে; সফরে তিনি দেশগুলোর শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে অবহিত করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভারত জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদ করার পর নয়া দিল্লির সঙ্গে কূটনীতিক সম্পর্ক হ্রাস করে ইসলামাবাদ এবং সব ধরনের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য স্থগিত করে। ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করে এবং ভারতের সঙ্গে বাস ও ট্রেন সার্ভিসগুলোও স্থগিত করে।
ইসলামাবাদ, ভারতের ফ্লাইটগুলোর জন্য পাকিস্তানের পুরো আকাশসীমাও বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছে ডন।