শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটিতে এখন এ ধরনের ৪০টি সেন্ট্রিফিউজ ব্যবহৃত হচ্ছে বলে ইরানের পরমাণু সংস্থার মুখপাত্র বেহরুজ কামালওয়ান্দির বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে।
সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম সাধারণত পারমাণবিক চুল্লিতে জ্বালানি হিসেবে কাজে লাগে। অধিক সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম পারমাণবিক অস্ত্র বানাতেও ব্যবহৃত হতে পারে।
চার বছর আগে স্বাক্ষরিত পরমাণু চুক্তি থেকে গত বছর সরে যাওয়া ওয়াশিংটন ইরানের ওপর আগের সব নিষেধাজ্ঞাও পুনর্বহাল করেছে। এর প্রতিক্রিয়ায় চলতি বছরের জুলাইয়ে ইরান চুক্তিতে দেওয়া দুটি প্রতিশ্রুতি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, আগের চুক্তি থেকে সরে আসা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে নতুন একটি চুক্তিতে রাজি হতে বাধ্য করতে চান; নতুন ওই চুক্তিতে তেহরানের পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির পাশাপাশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিতে লাগাম টানার বিষয়েও শর্ত দেওয়া থাকবে।
ইরান শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের এ প্রস্তাবে আপত্তি জানিয়ে আসছে।
ওয়াশিংটন চুক্তি থেকে সরে গেলেও স্বাক্ষরকারী অন্য ৫টি দেশ- রাশিয়া, চীন, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি চুক্তিটি বাঁচাতে নানান বিকল্প পদক্ষেপের কথা ভাবলেও, মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় দেশটির তেল বিক্রি সংকুচিত হয়ে যাওয়ায় বিশেষজ্ঞরা চুক্তিটির ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দিহান।
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটির মুদ্রার মানও পড়ে গেছে; বেড়ে গেছে মূল্যস্ফীতি।
শনিবার এক ঘোষণায় কামালওয়ান্দি অত্যাধুনিক সেন্ট্রিফিউজ ব্যবহার শুরুর কথা জানান। এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, উচ্চ মাত্রার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধে ইরানের আনবিক শক্তি কমিশন ২০টি আইআর-৪ ও ২০টি আইআর-৬ সেন্ট্রিফিউজ সক্রিয় করেছে।
দেশের প্রয়োজন মেটাতেই নতুন এ সেন্ট্রিফিউজগুলোর ব্যবহার শুরু হয়েছে, বলেছেন তিনি।
চুক্তি অনুযায়ী অন্যান্য অংশীদাররা তাদের বাধ্যবাধকতাগুলো আগের মতো মেনে চলা শুরু করলেও তেহরানও এসব পদক্ষেপ পাল্টে ফেলতে পারবে, মন্তব্য ইরানি পরমাণু সংস্থার এ মুখপাত্রের।
চার বছর আগের চুক্তিতে দেওয়া প্রতিশ্রুতি থেকে একে একে সরে এলেও ইরান আগের মতোই আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) প্রতিনিধিদের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো পরিদর্শনের অনুমতি দেবে বলেও নিশ্চিত করেছেন তিনি।