জনসনের জোড়া হার, আগাম নির্বাচনের প্রস্তাবও আটকে দিলেন ব্রিটিশ এমপিরা

ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ভোটাভুটিতে টানা দ্বিতীয় দফা হারতে হল প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে; তার আগাম নির্বাচনের প্রস্তাবও আটকে দিলেন এমপিরা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Sept 2019, 04:04 AM
Updated : 5 Sept 2019, 04:04 AM

জনসন চাইছেন, বাণিজ্য ও সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে কোনো সমঝোতায় পৌঁছানো না গেলেও ৩১ অক্টোবর নির্ধারিত তারিখে কোনো চুক্তি ছাড়াই ২৮ জাতির এই জোট থেকে বেরিয়ে যাক ব্রিটেন। এটাকে বলা হচ্ছে ‘নো ডিল ব্রেক্সিট’।

এর বিরোধিতায় মঙ্গলবার পার্লামেন্টে একটি প্রস্তাব তোলে বিরোধী দল, যাতে ব্রেক্সিট আরও পিছিয়ে দিয়ে যুক্তরাজ্যের স্বার্থ রক্ষা করে একটি বিচ্ছেদ চুক্তি চূড়ান্ত করার সময় পাওয়া যায়।

ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির ২১ জন এমপি তাতে সমর্থন দিলে হাউজ অব কমন্সের ভোটাভুটিতে প্রথম দফা হারতে হয় জনসনকে।

বিরোধী এমপিদের ওই বিল ব্রেক্সিট আলোচনার নিয়ন্ত্রণ ইউরোপীয় ইউনিয়নের হাতে তুলে দেবে- এমন যুক্তি দেখিয়ে প্রয়োজনে আগাম নির্বাচন ডাকার হুমকি দিয়ে আসছিলেন প্রধানমন্ত্রী জনসন।

কিন্তু বুধবার হাউজ অব কমন্সে তিনি ১৫ অক্টোবর সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তাব তুললে সেটাও নাকচ হয়ে যায়।

২০১১ সালের একটি আইনে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের মেয়াদ পাঁচ বছর নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। ওই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে নির্বাচন দিতে গেলে ৬৫০ সদস্যের পার্লামেন্টের দুই-তৃতীয়াংশের সমর্থন প্রয়োজন বরিস জনসনের। সেজন্য তার বিরোধী দলে লেবার পার্টির সমর্থন দরকার ছিল।

কিন্তু লেবার নেতা জেরেমি করবিন সাফ জানিয়ে দেন, ‘নো ডিল ব্রেক্সিট’ ঠেকানোর বিল পাস হলেই তার দল আগাম নির্বাচনে সমর্থন দেবে, তার আগে না।

প্রধানমন্ত্রী জনসন ব্রিটেনকে ‘নো ডিল’ ব্রেক্সিটে বাধ্য করতে খামখেয়ালির খেলায় মেতেছেন বলেও অভিযোগ করেন করবিন।

স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি এবং লিবারেল ডেমোক্রেটরাও জনসনের আগাম নির্বাচনের প্রস্তাবকে ‘নো ডিল ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের ষড়যন্ত্র’ আখ্যায়িত করে। 

প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির অধিকাংশ এমপির পাশাপাশি স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির এমপিরা জনসনের প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি থেকে বিরত থাকে।

শেষ পর্যন্ত দেখা যায়, আগাম নির্বাচনের প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়েছে ২৯৮টি। আর বিপক্ষে পড়েছে ৫৬টি। দুই তৃতীয়াংশের সমর্থন পাওয়ার জন্য আরও ১৩৬টি ভোট দরকার ছিল জনসনের।  

এই হারের পর লেবার নেতার সমালোচনায় জনসন বলেন, যুক্তরাজ্যের গণতন্ত্রের ইতিহাসে করবিনই হলেন প্রথম বিরোধী দলীয় নেতা যিনি একটি নির্বাচনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেন।