এ নিয়ে পিয়ংইয়ং কয়েক মাসের মধ্যে পঞ্চম দফা ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল, বলছে তারা।
দক্ষিণের এ দাবি সত্য হলে উত্তরের এ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ১১টি রেজুলেশনের লংঘন হিসেবে বিবেচিত হতে পারে, বলছে বিবিসি।
এবারের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার আগের দিনই মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডনাল্ড ট্রাম্প উত্তরের শীর্ষ নেতা কিম জং-উনের কাছ থেকে তিন পৃষ্ঠার একটি ‘খুবই চমৎকার চিঠি’ পাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণের সামরিক মহড়ায় কিমের অসন্তুষ্টির কথাও জানান ট্রাম্প।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানায়, শনিবার স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ৩৪ ও ৫টা ৫০ মিনিটে সাউথ হ্যামগিয়ং প্রদেশের হ্যামহাং থেকে কোরীয় উপদ্বীপের পূর্বে জাপান সাগরের দিকে ছোড়া হয়।
সর্বোচ্চ ৪৮ কিলোমিটার উচ্চতায় ওঠা স্বল্প পাল্লার এ ক্ষেপণাস্ত্র দুটি প্রায় ৪০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেয় বলেও জানিয়েছে তারা।
চলতি বছরের জুনে ট্রাম্প-কিম কোরীয় উপদ্বীপের পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের আলোচনা ফের শুরুর ব্যাপারে সম্মত হওয়ার পর থেকেই পিয়ংইয়ং একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট ছুড়ছে।
চলতি সপ্তাহে হতে যাওয়া দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক মহড়াকে লক্ষ্য করেই এসব পরীক্ষা হচ্ছে বলে পর্যবেক্ষকদের ধারণা।
এবারের মহড়া আগেরগুলোর মতো বড় আকারে হচ্ছে না বলে যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে আশ্বস্ত করা হলেও এ ধরনের যৌথমহড়াগুলোকে দীর্ঘদিন ধরেই নিজেদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি ও উসকানি হিসেবে দেখে আসছে পিয়ংইয়ং।