এরপরই দেশটির প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর ওপর আরো কঠোর আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার ডাক দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন।
তিনি বলেন, “ব্যবস্থা নেওয়ার এখনই সময়। ভেনেজুয়েলায় শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক উত্তরণ ত্বরান্বিত করতে যুক্তরাষ্ট্র সক্রিয়ভাবে মাদুরোকে অর্থনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করে ফেলার ব্যবস্থা নিচ্ছে।”
বিবিসি জানায়, সোমবার রাতে ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন। এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে ভেনেজুয়েলা সরকারের সব সম্পত্তি জব্দ করা হবে এবং সব ধরনের লেনদেন নিষিদ্ধ করা হবে।
বিবিসি জানায়, ট্রাম্পের নতুন এ নিষেধাজ্ঞার কারণে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি বিপদে পড়তে হবে মাদুরো সরকারকে। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে পদত্যাগে বাধ্য করতে চাপ বাড়ানোর নতুন এ কৌশল অবলম্বন করেছে ওয়াশিংটন।
যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের প্রায় ৫০টি দেশ প্রেসিডেন্ট হিসেবে মাদুরোকে স্বীকৃতি দেয় না। বেশিরভাগ পশ্চিমা দেশও ওই তালিকায় রয়েছে।
বরং তারা বিরোধীদলের (ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি) নেতা হুয়ান গুইদোকে সমর্থন দিয়েছেন, যিনি গত জানুয়ারিতে নিজেকে ভেনেজুয়েলার অন্তবর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন।
ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা আরোপের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মঙ্গলবার ভেনেজুয়েলার পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, “যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে অবৈধভাবে ভেনেজুয়েলার সামনে অর্থনীতি, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা শুরু করেছে। এ নিষেধাজ্ঞা আরোপের মাধ্যমে তারা শুধু আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের কাণ্ডের কথা জানাল।”
ভেনেজুয়েলা সরকার এভাবে তাদের বিরুদ্ধে আগ্রাসন মেনে নেবে না জানিয়ে বলা হয়, নিষেধাজ্ঞা আরোপ সংকট সমাধানে রাজনৈতিকভাবে আলোচনা প্রক্রিয়ায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
দক্ষিণ আমেরিকার এ দেশটির রাজনীতিতে ঘনীভূত হওয়া কালো মেঘ কাটাতে নরওয়ে সরকারের উদ্যোগে সরকার ও বিরোধীদলের মধ্যে আলোচনা চলছে।