হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থি বিক্ষোভে ফের সহিংস সংঘর্ষ

হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থিদের চলমান সরকার বিরোধী বিক্ষোভে ফের পুলিশের সঙ্গে সহিংস সংঘর্ষে জড়িয়েছে বিক্ষোভকারীরা। পুলিশের কঠোর আচরণের বিরুদ্ধেও তারা আওয়াজ তুলেছে।

>>রয়টার্স
Published : 28 July 2019, 02:31 PM
Updated : 28 July 2019, 02:49 PM

শনিবার হংকংয়ের উত্তরাঞ্চলীয় ইউয়েন লং শহরে পুলিশ টিয়ার গ্যাস এবং রাবার বুলেট ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার পর রোববার দ্বিতীয়দিনের মত বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে।

এদিন ব্যস্ত এক শপিং এলাকায় চীন সরকারের একটি কার্যালয়ের কাছে জড়ো হওয়া বিক্ষোভকারীদের ওপর টিয়ার গ্যাস ছুড়েছে পুলিশ।

লাখো বিক্ষোভকারী রোববার সাই ওয়ান এবং কসওয়ে বে’র কাছে রাস্তায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছে। গত আট সপ্তাহ ধরেই হংকংয়ে সরকার বিরোধী ও গণতন্ত্রপন্থি বিক্ষোভ চলছে এবং দিন দিনই তা সহিংস রূপ নিচ্ছে।

হংকং বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ নগরী হিসাবে খ্যাতি কুড়ালেও বর্তমানে সেখানে পুলিশ-বিক্ষোভকারী সংঘর্ষ এবং প্রতিবাদকারীদের ওপর মুখোশধারীদের হামলার ঘটনায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি বিজার করছে।

মূলত চীনের কাছে অপরাধী প্রত্যর্পণ নিয়ে প্রস্তাবিত একটি বিলের বিপক্ষে শুরু হওয়া চীনবিরোধী এ বিক্ষোভ এখন হংকংয়ের স্বাধীনতার আন্দেলনে ‍রূপ নিয়েছে।

রোববারের বিক্ষোভে বিক্ষোভকারীরা ‘হংকং এর মুক্তি চাই’ স্লোগান দিয়েছে। তারা কয়েকটি জায়গায় বেষ্টনি ভাঙার চেষ্টা চালায়। বিক্ষোভকারীরা এদিন সাই ওয়েনে চীনের লিঁয়াজো কার্যালয় এবং পূর্বে কসওয়ে বে শপিং এলাকা অভিমুখে পদযাত্রা করেছে।

পুলিশ বিক্ষোভকারীদেরকে চীনের লিয়াঁজো কার্যালয়ে যেতে বাধা দেয়। কার্যালয় ভবনটি প্লাস্টিকের বেষ্টনী দিয়ে ঘিরেও রাখে পুলিশ। বিক্ষোভকারীরা এ বাধা উপেক্ষা করে অগ্রসর হতে গেলে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। গত রোববারও বিক্ষোভকারীরা এ কার্যালয়েই চড়াও হয়েছিল।

এবারের বিক্ষোভে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের সহিংসতা বন্ধের দাবিতেও স্লোগান দিয়েছে। কয়েকটি ব্যানারে লেখা ছিল “আমরা এক হয়ে লড়ছি”, “সহিংসতা বন্ধ হোক”।

১৯৯৭ সালে ব্রিটিশদের থেকে চীনের কাছে হস্তান্তরের পর হংকংয়ের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ। চীনের কাছে হস্তান্তরের সময় যুক্তরাজ্য শহরটির স্বায়ত্ত্বশাসন ও স্বাধীনতা এবং স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা অটুট রাখার প্রতিশ্রুতি আদায় করে নিয়েছিল।

হংকংয়ের জন্য চীন ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থাপনার’ নীতি নিয়েছে। কিন্তু যুক্তরাজ্যকে প্রতিশ্রুতি দিলেও নিজেদের ভূখণ্ডভুক্ত হওয়ার পর থেকেই বেইজিং হংকংয়ের গণতান্ত্রিক সংস্কারে বাধা, স্থানীয় নির্বাচনে হস্তক্ষেপ ও বিরোধীদের ওপর তুমুল দমন-নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ সমালোচকদের।