শনিবার স্থানীয় সময় সকালের দিকে হওয়া এ ভূমিকম্পে অসংখ্য বাড়িঘরও বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ভূমিকম্পের সময় ওই এলাকায় কোনো সুনামি সতর্কতা জারি হয়নি।
ফিলিপিন্স সরকারের তথ্য অনুযায়ী, বাতানেসে প্রথমে ৫ দশমিক ৪ মাত্রার একটি মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে; কিছু সময় পর এলাকাটি ৫ দশমিক ৯ মাত্রার পরাঘাতে কেঁপে ওঠে। পরে আরও একটি বড় পরাঘাত অনুভূত হয়।
দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার পরিচালক রিকার্ড জালাদ জানান, ভূমিকম্পের প্রথম আঘাতেই ৫ জনের মৃত্যু হয়; পরাঘাতগুলোতে মারা যান আরও তিনজন।
“এটা আতঙ্কের, আমরা এখনো শক্তিশালী পরাঘাতগুলো অনুভব করতে পারছি,” বলেছেন স্থানীয় ইতবায়াত শহরের স্কুল শিক্ষক এদনা গাতো।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় চিকিৎসক ও উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিপিন্সের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা। আহতদের উদ্ধারে মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার।
ফিলিপিন্সের লুজন ও তাইওয়ানের মাঝামাঝি অবস্থিত বাতানেস দ্বীপপুঞ্জটি পর্যটকদের কাছে পুরনো আমলের পাথরের বাড়িঘরের জন্য পরিচিত।
শনিবারের ভূমিকম্পে ওই বাড়িগুলোরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে গাতো জানিয়েছেন।
ভূ-প্রাকৃতিক অবস্থানের ফিলিপিন্সে প্রায়ই ভূমিকম্প হয়। বিশ্বের সক্রিয় আগ্নেয়গিরিগুলোর অর্ধেকের বেশি রয়েছে যে এলাকায়, প্রশান্ত মহাসাগরের সেই ‘রিং অব ফায়ারের’ মধ্যেই দেশটির অবস্থান।