২০১৬ সালের নির্বাচন: রাশিয়ার নিশানায় ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ রাজ্যই

যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট পদ্ধতি হ্যাকিংয়ের জন্য দেশটির ৫০ টি রাজ্যকেই টার্গেট করেছিল রাশিয়া। মার্কিন সিনেটের গোয়েন্দা কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনে বেরিয়ে এসেছে এ তথ্য।

>>রয়টার্স
Published : 26 July 2019, 12:45 PM
Updated : 26 July 2019, 12:45 PM

এতে ওই বছরের নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ যতটা আছে বলে আগে ধারণা করা হয়েছিল, তার চেয়েও আরো বেশি হস্তক্ষেপেরই আলামত পাওয়া যাচ্ছে। তবে কোনো ভোট পরিবর্তন করা হয়েছে এমন কোনো প্রমাণ মেলেনি বলেও জানানো হয়েছে বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে।

রাশিয়া বিষয়ক সাবেক বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা রবার্ট মুলার তার নিজস্ব তদন্ত নিয়ে বুধবার হাউজ কমিটিতে সাক্ষ্য দেওয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের আগামী নির্বাচনেও রাশিয়ার হস্তক্ষেপের ব্যাপারে সতর্ক করার ২৪ ঘন্টা পরই সিনেট গোয়েন্দা কমিটি তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করল।

২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী নিরাপত্তা এবং রাশিয়ার হস্তক্ষেপ নিয়ে সিনেট কমিটির দীর্ঘপ্রতিক্ষীত এ দ্বিদলীয় তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় এবং স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনী নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে রাশিয়া সরকার ব্যাপক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছে। কমপক্ষে ২০১৪ সাল থেকে তারা একাজ শুরু করেছে এবং নিদেনপক্ষে ২০১৭ সাল পর্যন্ত তা চালিয়ে গেছে।”

প্রতিবেদনটি অনেক ক্ষেত্রেই কাটছাঁট করে সংক্ষিপ্ত আকারে ৬৭ পাতায় প্রকাশ করা হয়েছে। রাশিয়ার গোয়েন্দাদের পরিচালিত বহু হ্যাকিংয়ের ঘটনার ব্যাপারে বিস্তারিত জানা থাকলেও সিনেট কমিটি বলছে, “যুক্তরাষ্ট্রের রাজ্যগুলোর ভোটিং নেটওয়ার্কেও নজিরিবিহীন হ্যাকিং তৎপরতা চালিয়েছে রাশিয়া।” ভোট পদ্ধতির দুর্বল দিক এবং ফাঁক খুঁজে বের করাই ছিল তাদের উদ্দেশ্য।

ভোটিং মেশিনে তাদের কোনো ভোট পরিবর্তন করার কোনো প্রমাণ যদিও পাওয়া যায়নি, তবে ইলিনয় রাজ্যে রুশ সাইবার গোয়েন্দারা ভোটার তথ্য মুছে দেওয়া কিংবা পরিবর্তন করে দেওয়ার মতো অবস্থানে চলে গিয়েছিল। তবে তারা সেরকম কিছু করেছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়নি-- এমনটিই বলা হয়েছে সিনেট প্রতিবেদনে।

২০১৬’র নির্বাচনের সময় ভোট পদ্ধতিতে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ সম্পর্কে প্রথম জানা গিয়েছিল ইলিনয়ে। এরপর ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির (ডিএইচএস) মূল্যায়নে দেশের ৫০ টি রাজ্যেই রাশিয়া হস্তক্ষেপ করেছে বলে ধারণা প্রকাশ করা হয়েছে।

বুধবার হাউজ কমিটিতে সাক্ষ্য দেওয়ার সময় রবার্ট মুলার ২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও রাশিয়া এবং প্রতিপক্ষ অন্যান্যদের চলমান হুমকির বিষয়টি তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। রাশিয়া যে কাজ করেছে ঠিক সে কাজটিই করার সক্ষমতা আরো অনেক দেশই অর্জন করছে বলে তিনি সতর্ক করেছেন।