যুক্তরাষ্ট্রের পথে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট, ক্ষুব্ধ চীন

ক্যারিবীয় দেশগুলোতে এক সফরে যুক্তরাষ্ট্রের পথে রওনা হয়েছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইন-ওয়েন। এতে ক্ষুব্ধ হয়েছে চীন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 July 2019, 02:06 PM
Updated : 11 July 2019, 02:42 PM

বৃহস্পতিবার সাই-ইন ওয়েন সফরে রওনা হন। চীন তাকে প্রবেশের অনুমতি না দিতে যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান জানিয়েছে।

তাইওয়ান প্রশাসনকে একঘরে করার চীনা কূটনৈতিক চাপের মধ্যে সাই-ইন ওয়েন এ সফরে যাচ্ছেন। চীনের নাম না নিয়ে তিনি বলেছেন, তাইওয়ান ‘বিদেশি শক্তির’ কাছ থেকে হুমকির মুখে আছে। গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত রাখতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্র হয়ে চারটি ক্যারিবীয় দেশ সফর করবেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট। ১২ দিনের এ সফরে তিনি ও তার প্রতিনিধিদল যুক্তরাষ্ট্রে চার রাত কাটাবেন।

ক্যারিবীয় দেশগুলোতে যাওয়ার সময় দু’রাত এবং ফিরে আসার সময় দু’রাত যুক্তরাষ্ট্রে কাটাবেন তারা। হাইতি, সেন্ট লুসিয়া এবং অন্য দুটো দ্বীপদেশে তাদের সফর করার কথা রয়েছে।

যাওয়ার পথে সাই-ইন ওয়েন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে যাবেন এবং তারপর ফেরার পথে ডেনভার হয়ে আসবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

তাইওয়ানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই এবং সাই-ইন ওয়েন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এবারই যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি সময় থাকবেন।

সাই বলেছেন, “তাইওয়ান বিশ্বে স্বাধীনতা এবং উন্মুক্ততার মূল্যবোধে বিশ্বাসী। এ সফরের ফলে তাইওয়ানের কূটনৈতিক কর্মকান্ডের প্রসার ঘটবে এবং ব্যবসার আরো সুযোগ খুঁজে পাওয়া সহজ হবে।”

স্বশাসিত এবং গণতান্ত্রিক তাইওয়ানকে চীন এখনো তাদের ভূখন্ডের অংশ হিসেবে বিবেচনা করে। তাইওয়ানকে নিজের কব্জায় রাখার জন্য চীন প্রায়ই সামরিক বিমান পাঠিয়ে হুমকি সৃষ্টি করে থাকে।

এ হুমকির মুখে সাই বরাবরই তাইওয়ানের গণতন্ত্রের সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান জানিয়ে এসেছেন। তিনি এর আগে সর্বশেষ গত মার্চে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে তাদের ‘এক চীন’ নীতির কোনো পরিবর্তন ঘটানো হয়নি। এ নীতির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র সরকারিভাবে চীনকে স্বীকৃতি দেয়। তাইওয়ানকে নয়। তবে তাইওয়ানকে অস্ত্র দিয়ে বরাবরই সাহায্য করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।