মালয়েশিয়ায় বায়ুদূষণে অসুস্থ ৭৫ শিশু, চারশতাধিক স্কুল বন্ধ ঘোষণা

মালয়েশিয়ার জোহর প্রদেশে বায়ুদূষণজনিত কারণে ৭৫ জন শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ায় চার শতাধিক স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 June 2019, 12:35 PM
Updated : 25 June 2019, 12:35 PM

বিবিসি জানায়, পাসির গুডং শিল্পাঞ্চলে শিশুদের শ্বাসকষ্ট ছাড়াও বমি হয়েছে। এ অবস্থায় প্রদেশের সব স্কুল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে।

শিল্পকারখানার বর্জ্য থেকে বিষাক্ত গ্যাসদূষিত বায়ুর ‍কারণে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন সর্বশেষ বায়ু দূষণের কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত করছে।

এর আগে গত মার্চেও পাসির গুডং শিল্পাঞ্চলে হঠাৎ করে প্রায় চারহাজার মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছিল, যাদের বেশিরভাগই শিশু ছিল। পরে দেখা যায়, সেখানে একটি নদীতে অবৈধভাবে রাসায়নিক বর্জ্য ফেলার কারণে অত মানুষ একসঙ্গে অসুস্থ হয়।

তবে ওই ঘটনার সঙ্গে বর্তমান ঘটনার সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। জোহরের মুখ্যমন্ত্রী ডা. সাহরুদ্দিন জামাল বলেন, ১৫টি বিদ্যালয়ের অসুস্থ হয়ে পড়া ৭৫ শিক্ষার্থীর সবাইকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রথমে তাদের শ্বাসকষ্ট শুরু হয় এবং পরে বমি করতে থাকে। ঘটনার পরপরই সাহরুদ্দিন সাংবাদিকদের অসুস্থতার কারণ ‘স্পষ্ট নয়’ বলে জানান।

তিনি এও বলেন যে, গত মার্চে কিম কিম নদীতে রাসায়নিক বর্জ্য ফেলার কারণে সংগঠিত দূষণের সঙ্গে এর সম্পর্ক নেই।

দূষণের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ‘কঠোর ব্যবস্থা’ গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ।

তিনি বলেন, “মাত্র কয়েক দিন আগে দূষণের ঘটনার পর আবারও একই ঘটনা ঘটা উচিত হয়নি।”

সেবার কিম কিম নদীর পানি পরীক্ষা করে ১৫টি ভিন্ন ভিন্ন বিষাক্ত রাসায়নিক পাওয়া যায়, যার মধ্যে মারাত্মক বিষাক্ত হাইড্রোজেন সায়ানাইডও ছিল।

ওই ঘটনায় জড়িতে সন্দেহে দুই মালয়েশীয় এবং সিঙ্গাপুরের এক নাগরিকের বিচার চলছে। ডা. সাহরুদ্দিন বলেন, “কিম কিম নদী থেকে সব রাসায়নিক বর্জ্য তুলে ফেলা হয়েছিল। “কী কারণে আবারও দূষণের ঘটনা ঘটলো তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”