রোববার হামলাটি চালানো হয় বলে ইয়েমেনে যুদ্ধরত সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীর বরাতে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এর আগে হুতিদের পরিচালিত আল মাসিরাহ টেলিভিশন জানায়, হুতিরা সৌদি আরবের দক্ষিণাঞ্চলীয় আভা ও জিযান বিমানবন্দরে ড্রোন হামলা চালিয়েছে।
এক বিবৃতিতে সৌদি জোট বলেছে, “ইরান-সমর্থিত হুতি মিলিশিয়ারা আভা বিমানবন্দরে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে এক সিরীয় নাগরিককে হত্যা ও ২১ বেসামরিককে জখম করেছে।”
তবে জিযান বিমানবন্দরে হামলা হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করেনি তারা।
সৌদি মালিকানাধীন আল আরাবিয়া টেলিভিশন জানিয়েছে, আভা বিমানবন্দরের পার্কিং লটে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
ইয়েমেন সীমান্ত থেকে ২০০ কিলোমিটার উত্তরের আভা বিমানবন্দর থেকে সৌদি আরবের অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক রুটগুলোতে বিমান চলাচল করে।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, বিমানবন্দরটিতে ফ্লাইট চলাচল পুনরায় শুরু হয়েছে এবং এখন বিমানবন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলছে।
চলতি মাসের প্রথমদিকে আভা বিমানবন্দরে হুতিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ২৬ জন আহত হয়েছিল।
২০১৪ সালের শেষ দিকে হুতিরা ইয়েমেনের রাজধানী সানা দখল করে দেশটির আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে। ওই সরকারকে ফের ক্ষমতায় বসাতে ২০১৫ সালে ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধে হস্তক্ষেপ করে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা-সমর্থিত সুন্নি জোট বাহিনী।
চার বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা এ যুদ্ধে অন্তত ছয় হাজার ৮০০ জন বেসামরিক নিহত ও ১০, ৭০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন বলে ভাষ্য জাতিসংঘের।
অপুষ্টি, অসুখ ও ভগ্নস্বাস্থ্যের মতো নিরাময় যোগ্য কারণে আরও কয়েক হাজার বেসামরিকের মৃত্যু হয়েছে। সৌদি সামরিক জোটের অবরোধে কারণে ইয়েমেন প্রায় দুর্ভিক্ষের প্রান্তে পৌঁছে গেছে।
সম্প্রতি ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র পারস্য উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যে সৌদি শহরগুলোতে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা শুরু করে ইরানের মিত্র হুতিরা।
১৩ জুন আভা বিমানবন্দরে চালানো হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্র হুতিদের ইরান সরবরাহ করেছে বলে অভিযোগ সৌদি আরবের। অপরদিকে তেহরান ও হুতিরা সৌদির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।
আভায় হামলার পর সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনী ইয়েমেনের রাজধানী সানা ও বন্দর শহর হোদেইদাহের আশপাশে হুতিদের সামরিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়েছে।
রোববার ওয়াশিংটনের সৌদি দূতাবাস প্রকাশিত এক যৌথ বিবৃতিতে সৌদি আরব, আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র হুতিদের হামলা বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।