যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, ইরান যদি কখনো প্রস্তুত হয় বা তারা যখন প্রস্তুত হবে তখনই আলোচনার আহ্বান কিংবা অনুরোধ জানাবে।
ট্রাম্পের এ কথার পরই ইরান আলোচনার কোনোরকম সম্ভাবনা নাকচ করল।
মঙ্গলবার রুহানি বলেছেন, “আজকের পরিস্থিতি আলোচনার উপযোগী নয়। আর আমাদের পথ হল কেবল প্রতিরোধ করা।” ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএ রুহানির উদ্ধৃতি দিয়ে একথা জানিয়েছে।
ইরান মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের স্থাপনায় হামলা করলে ‘কঠোর জবাব’ পাবে বলে মঙ্গলবারই নতুন করে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প।
২০১৫ সালের ইরান পরমাণু চুক্তি থেকে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নিয়ে দেশটির ওপর কঠোর অর্থনেতিক নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করার পর থেকেই ওয়াশিংটন-তেহরানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
মে মাসে ওই নিষেধাজ্ঞা আরও জোরদার হলে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। এর মধ্যেই পারস্য উপসাগরে বিমানবাহী রণতরী ও পারমাণবিক বোমা বহনে সক্ষম বি-৫২ বোমারু বিমান মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
তারপর থেকে পক্ষ দুটির মধ্যে যে কোনো সময় যুদ্ধ বেধে যেতে পারে আশঙ্কায় ওই অঞ্চলজুড়ে প্রবল উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। যদিও উভয়পক্ষই এখনো বলছে তারা যুদ্ধ চায় না।