ইরান থেকে তেল আমদানিতে ছাড় বন্ধের পথে যুক্তরাষ্ট্র

ইরান থেকে এখনো তেল আমদানি করা দেশগুলোকে নিষেধাজ্ঞায় ছাড় দেওয়া বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 April 2019, 03:18 PM
Updated : 22 April 2019, 03:18 PM

হোয়াইট হাউজ বলেছে, ইরানের তেল কেনার শাস্তিস্বরূপ চীন, ভারত, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং তুরস্কের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পদক্ষেপে যে ছাড় দেওয়া হয়েছিল তার মেয়াদ মে’র শুরুতেই শেষ হবে।

যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তেল রপ্তানি শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০১৫ সালে ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে ইরানের পরমাণু চুক্তি ট্রাম্প পরিহার করার পর গতবছর দেশটির ওপর পুরোনো সব নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করেন তিনি।

ট্রাম্প প্রশাসন ইরানকে কেবল তাদের পারমাণবিক কর্মসূচিই নয় বরং এর সঙ্গে তাদের বালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিয়েও একটি নতুন একটি চুক্তি করার জন্য চাপ দিতে চায়।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও সোমবার ফের বলেছেন, ওয়াশিংটনের লক্ষ্য হচ্ছে ইরানের তেল রপ্তানি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা। ফলে ইরান থেকে বিশ্বের দেশগুলোর তেল আমদানিতে ১ মে’র পর আর ছাড় দেওয়ার পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের নেই।

ইরানের ওপর চাপ বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্র গত নভেম্বরে দেশটির জ্বালানি, জাহাজ নির্মাণ, জাহাজ পরিবহন এবং ব্যাংকিং খাতে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করে। ইরান থেকে তেল আমদানি করা দেশগুলোর ওপরও যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছিল।

তবে সেক্ষেত্রে ইরান বাদে তেল আমদানির অন্য উতস খুঁজে নেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র আটটি দেশকে ছয়মাসের জন্য বিশেষ ছাড় দিয়েছিল।  এ দেশগুলো হচ্ছে, ইতালি, ভারত, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, তুরস্ক চীন, তাইওয়ান ও গ্রিস।

এ সময়ের মধ্যে ওই আটটি দেশের তিনটি দেশ গ্রিস, ইতালি এবং তাইওয়ান ইরানের তেল আমদানি বন্ধ করেছে। তবে অন্য দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের ছাড়ের মেয়াদ আরো বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এ সময় আর না বাড়ানোরই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এতে করে তার প্রশাসন দেশের নিরাপত্তার লক্ষ্য পূরণে চাপ বাড়ানোর পদক্ষেপ ত্বরান্বিত করতে চাইছে- এমনটিই প্রতীয়মান হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।