ব্রিটিশ সংবাদপত্র গার্ডিয়ানকে প্রেসিডেন্ট লেনিন মোনেরো এসব কথা বলেছেন বলে খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
সাত বছরের রাজনৈতিক আশ্রয় প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর বৃহস্পতিবার ইকুয়েডরের দূতাবাস থেকে অ্যাসাঞ্জকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় লন্ডন পুলিশ।
অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক অ্যাসাঞ্জ ২০১০ সালে পেন্টাগন ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের লাখ লাখ সামরিক ও কূটনৈতিক গোপন নথি ফাঁস করে দিয়ে বিশ্বজুড়ে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছিলেন।
ওই সব নথির মধ্যে মার্কিন বাহিনীর বিরুদ্ধে আফগান যুদ্ধসম্পর্কিত ৭৬ হাজার এবং ইরাক যুদ্ধ সম্পর্কিত আরো ৪০ হাজার নথি ছিল, যা যুক্তরাষ্ট্র সরকার ও পেন্টাগনকে চরম বেকায়দায় ফেলে দেয়। এসব কারণে তাকে বিচারের মুখোমুখি করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।
গ্রেপ্তারের পর তাকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তুলে দেওয়া এখন সময়ের ব্যাপার বলে মনে করা হচ্ছে।
মোরেনোর ব্যক্তিগত জীবনের তথ্য ফাঁস করে দিচ্ছেন, ইকুয়েডর এমন অভিযোগ তোলার পর রাজনৈতিক আশ্রয়দাতা দেশটির সঙ্গে অ্যাসাঞ্জের সম্পর্ক ভেঙে পড়ে।
তার পরিবারিক নথিপত্র ফাঁস হওয়ার প্রতিশোধ নিতেই অ্যাসাঞ্জের রাজনৈতিক আশ্রয় বাতিল করা হয়েছে, এমন ধারণা অস্বীকার করেছেন মোরেনো। অন্য দেশের গণতন্ত্রে হস্তক্ষেপ করতে অ্যাসাঞ্জ ইকুয়েডর দূতাবাস ব্যবহার করায় তিনি দুঃখিত বলে জানিয়েছেন।
“আমরা একটি সার্বভৌম দেশ ও প্রত্যেক দেশের রাজনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল, তাই অস্থিতিশীলতার যে কোনো উদ্যোগ ইকুয়েডরের জন্য মর্যাদাহানিকর,” ইমেইলে গার্ডিয়ানকে তিনি বলেছেন।
“আমাদের দূতাবাসের দরজা গুপ্তচরবৃত্তির কেন্দ্র হওয়ার জন্য খুলে দিতে পারি না,” মোনেরো এমনটি বলেছেন বলে উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে গার্ডিয়ান।