‘খিলাফতের’ পতন হলেও সন্ত্রাসী এই গোষ্ঠীটির হুমকি এখনও বজায় আছে বলে সতর্ক করেছেন তিনি।
কুর্দি নেতৃত্বাধীন ডেমোক্রেটিকে ফোর্সেস (এসডিএফ) আইএসের শেষ ঘাঁটি বাঘুজে বিজয়ের পতাকা উড়ানোর পর ট্রাম্প এসব মন্তব্য করেন বলে খবর বিবিসির।
শনিবার হোয়াইট হাউস প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, “চূড়ান্তভাবে পরাজিত না হওয়া পর্যন্ত এর সঙ্গে লড়াই করতে অংশীদার ও মিত্রদের সঙ্গে কাজ করে যাবো আমরা। যখন এবং যেখানেই দরকার হবে যুক্তরাষ্ট্র মার্কিনীদের স্বার্থ রক্ষা করবে।
আইএস ‘সব প্রতিপত্তি ও ক্ষমতা হারিয়েছে’ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
‘(আইএস) চূড়ান্তভাবে পরাজিত না হওয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র সজাগ থাকবে’ বলেও জানিয়েছেন তিনি।
উত্থানের সর্বোচ্চ পর্যায়ে সিরিয়া ও ইরাকের ৮৮ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকার ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছিল আইএস। বিশ্ব শক্তিগুলোর সমর্থনে স্থানীয় বাহিনীগুলো পাঁচ বছর ধরে তীব্র লড়াইয়ের পর আইএসের নিয়ন্ত্রিত এলাকার সীমানা কয়েকশ বর্গমিটারের মধ্যে সীমাবদ্ধ করে ফেলেছিল।
ইরাক সীমান্তের নিকটবর্তী সিরিয়ার এই এলাকাগুলোতেই আইএসের তথাকথিত ‘খিলাফত’ সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছিল। শনিবার যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সিরীয় বিদ্রোহী গোষ্ঠী এসডিএফ আইএসের নিয়ন্ত্রণে থাকা অবশিষ্ট এলাকাটি দখল করে নেয় এবং আইএসের ‘খিলাফতের’ পতন হয়েছে বলে ঘোষণা দেয়।
সিরিয়া ও ইরাকে নিজেদের নিয়ন্ত্রিত এলাকা হারালেও নাইজেরিয়া থেকে শুরু করে ফিলিপিন্স পর্যন্ত আইএসের তৎপরতা এখনও বজায় আছে।
ট্রাম্পের পাশাপাশি অন্যান্য পশ্চিমা নেতারাও আইএসের ‘খিলাফতের’ পতনকে স্বাগত জানিয়ে জঙ্গিগোষ্ঠীটির হুমকি এখনও বজায় আছে বলে সতর্ক করেছেন।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, “হুমকি অব্যাহত আছে এবং সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই অবশ্যই বজায় রাখতে হবে।”