বিবিসি জানায়, এ মাসের শুরু দিকে ডি’বোন কালেক্টর মিউজিয়ামের কর্মীরা দাভাও নগরীর পূর্বাঞ্চল থেকে তিমিটিকে উদ্ধার করেছিল।
একটি তিমির পেটে এত বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিক বর্জ্য আগে কখনো দেখা যায়নি বলে এক ফেইসবুক পোস্টে জানান তারা।
মৃত তিমির পাকস্থলী থেকে ১৬টি চালের বস্তা এবং বিপুল পরিমাণ 'শপিং ব্যাগ' বের করা হয় বলেও ওই ফেইসবুক পোস্টে জানানো হয়।
ফিলিপিন্সসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশ থেকেই বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিক বর্জ্য নদী হয়ে সমুদ্রে পড়ে বা সরাসরি সমুদ্রে সেগুলো নিক্ষেপ করা হয়।
‘ওসান কনজারভেন্সি’র ২০১৫ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এশিয়ার পাঁচ দেশ চীন, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপিন্স, ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ডের ৬০ শতাংশের বেশি প্লাস্টিক বর্জ্য সাগরে পড়ে।
এখনই ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে আগামী এক দশকের মধ্যে সমুদ্রে প্লাস্টিক বর্জে্যর পরিমাণ তিনগুণ হবে বলেও এক প্রতিবেদনে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
প্লাস্টিক ব্যাগের কারণে প্রতি বছর সাগরে শত শত প্রাণী মারা যায়।
গত বছর জুনে দক্ষিণ থাইল্যান্ডের সৈকতে ভেসে আসা একটি মৃত পাইলট তিমির পেটে ৮০টি প্লাস্টিক ব্যাগ পাওয়া যায়। ওই বছর নভেম্বরে ইন্দোনেশিয়ার ন্যাশনাল পার্কে সমুদ্র থেকে ভেসে আসা একটি মৃত তিমির পেটে প্রায় ছয় কেজি প্লাস্টিক বর্জ্য পাওয়া গেছে।
২০১৭ সালের শেষ দিকে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন ক্ষতির’ কারণে সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য আজ হুমকির মুখে।
প্রতি বছর প্রায় ১০ মেট্রিক টন প্লাস্টিক বর্জ্য সমুদ্রে গিয়ে পড়ছে বলেও ওই প্রতিবদনে জানানো হয়।