বিবিসি জানিয়েছে, দেহাবশেষ শনাক্ত করতে ছয় মাসের মতো লাগতে পারে তাই এখনই নিহতদের পরিবারগুলোকে মৃতদেহ বা দেহাবশেষ দেওয়া সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছে ইথিওপিয়ার কর্তৃপক্ষ।
এই পরিস্থিতিতে রোববার আদ্দিস আবাবায় ওই দুর্ঘটনায় নিহতদের শেষকৃত্যের আয়োজন করা হয়েছে এবং সেখানে দুর্ঘটনাস্থলের পোড়া মাটি এনে রাখা হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে রয়টার্স।
ওই শেষকৃত্যে নিহতদের শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলোকে এক কেজির ব্যাগ ভর্তি পোড়া মাটি সমাহিত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে আরেকটি আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
“এখনই দেহগুলো শনাক্ত করে পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া অসম্ভব হওয়ায় ওই মাটিগুলো আনা হয়েছে,” শোকসন্তপ্ত একটি পরিবারের এক সদস্য এমনটি বলেছেন প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “আমাদের প্রিয়জনের আসল দেহ অথবা দেহাংশ না পাওয়া পর্যন্ত আমরা স্থির হতে পারবো না।”
গত রোববার আদ্দিস আবাবা থেকে কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবি যাওয়ার পথে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ৩০২ উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যে বিধ্বস্ত হয়। এই উড়োজাহাজটিতে ৩০টিরও বেশি দেশের ১৪৯ জন যাত্রী ও আট জন ক্রু ছিলেন।
এ ঘটনায় নিহত আরোহীদের স্বজনদের ডিএনএ স্যাম্পল সরবরাহ করে মৃতদেহ শনাক্ত করার কাজে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। তারা আদ্দিস আবাবা অথবা বিদেশে যেখানে যেখানে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের দপ্তর আছে সেখানে ডিএনএ স্যাম্পল দিতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে।
দুই সপ্তাহের মধ্যে নিহতদের মৃত্যু সনদ দেওয়া হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
এ দুর্ঘটনার পর বিশ্বব্যাপী মার্কিন কোম্পানি বোয়িংয়ের নির্মিত ৭৩৭ ম্যাক্স ৮ ও ৯ উড়োজাহাজ দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা বন্ধ করে ওই মডেলের উড়োজাহাজগুলো ভূমিতে নামিয়ে রাখা হয়।
শনিবার ইথিওপিয়ার পরিবহনমন্ত্রী জানিয়েছেন, নতুন ওই উড়োজাহাজটি কী কারণে বিধ্বস্ত হয়েছে তা বের করার তদন্তে ‘উল্লেখযোগ্য সময়’ লাগতে পারে।