বিবিসি জানায়, রোববার উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়। সেটিতে মোট ১৪৯ যাত্রী এবং ৮ জন ক্রু ছিলেন।
ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবা থেকে ফ্লাইট ইটি৩০২ কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে যাচ্ছিল।
উড্ডয়নের মাত্র ছয় মিনিট পর স্থানীয় সময় সকাল ০৮:৪৪ মিনিটে আদ্দিস আবাবা থেকে ৬২ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বে বিশফটু শহরের কাছে বোয়িং ৭৩৭-৮০০ ম্যাক্স উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়। সেটি কী কারণে বিধ্বস্ত হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি।
স্বাভাবিকভাবে উড়োজাহাজটির গতি ঠিকঠাক মনে হলেও এয়ার ট্রাফিক মনিটর ফ্লাইটরাডার টোয়েন্টিফোরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, উড্ডয়নের পরপরই উড়োজাহাজটির উলম্ব গতি অস্থিতিশীল ছিল।
এক প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসি’কে বলেছেন, বিমানটি মাটিতে পড়ে ভয়াবহ আগুন ধরে যায়। “আগুন এতটাই দাউ দাউ করে জ্বলছিল যে কেউ কাছে যেতে পারছিল না। সবকিছুই পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল। ঘটনাস্থলে এখন ৪ টি হেলিকপ্টার আছে।”
উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হওয়ার পরপরই এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বিশফতু শহরের কাছে দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধার কাজ শুরু হওয়ার কথা জানানো হয়েছিল।
কারা যাত্রী ছিলেন:
নিহতদের মধ্যে ৩২ জন কেনিয়ার, ১৮ জন কানাডার, আটজন যুক্তরাষ্ট্রের এবং সাত জন যু্ক্তরাজ্যের নাগরিক আছেন বলে জানায় বিবিসি।
এছাড়া ইথিওপিয়ার নয়জন, ইতালি ও চীনের আটজন, ফ্রান্সের সাতজন, মিশরের ছয়জন, নেদারল্যান্ডেসের পাঁচজন এবং ভারত ও স্লোভাকিয়ার চার নাগরিক আছেন বলে জানা গেছে।
যাত্রীদের মধ্যে স্লোভাকিয়ার এমপি অ্যান্টন হরঙ্কর স্ত্রী ও দুই সন্তান ছিল বলে পরে তিনি ফেইসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে নিশ্চিত করেন।
বেলজিয়াম, ইন্দোনেশিয়া, সোমালিয়া, নরওয়ে, সার্বিয়া, টোগো, মোজাম্বিক, রুয়ান্ডা, সুদান, উগান্ডা ও ইয়েমেনের একজন করে নাগরিক বিধ্বস্ত উড়োজাহাজে ছিলেন বলেও জানায় বিবিসি।
বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স-৮:
বিধ্বস্ত উড়োজাহাজটি যুক্তরাষ্ট্রের উড়োজাহাজ প্রস্তুতকারী কোম্পানি বোয়িং এর ৭৩৭ ম্যাকস-৮ মডেলের। ২০১৬ সালে এই মডেলের উদ্বোধন হয়।
রোববার ইথিওপিয়ার উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর বোয়িংয়ের পক্ষ থেকে এক টুইটে ‘গভীর মনযোগের সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে’ বলে জানানো হয়।
মাত্র পাঁচ মাস আগে ইন্দোনেশিয়ায় বোয়িংয়ের একই মডেলের আরো একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়। লায়ন এয়ারের ওই উড়োজাহাজটির ১৯০ আরোহীর সবাই নিহত হয়েছিল।