গ্রেপ্তারের ঝুঁকি নিয়ে ভেনেজুয়েলায় ফিরছেন গুইদো

গ্রেপ্তার হওয়ার ঝুঁকি মাথায় নিয়েই দেশে ফেরার পরিকল্পনা করেছেন বিদেশ ভ্রমণে থাকা ভেনেজুয়েলার বিরোধীদলীয় নেতা হুয়ান গুইদো।

>>রয়টার্স
Published : 4 March 2019, 02:17 PM
Updated : 4 March 2019, 02:17 PM

রোববার এক টুইটে গুইদো বলেন, তিনি যথা সময়ে দেশে ফিরে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার ‘ঐতিহাসিক চ্যালেঞ্জ’ গ্রহণ করতে চান। আদালতের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই গুইদো লাতিন আমেরিকায় তাকে সমর্থন দেওয়া দেশগুলো সফরে বের হয়েছেন।

এ সফরে তিনি প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে উৎখাত করে নতুন করে নির্বাচন আয়োজনের যে আন্দোলন শুরু করেছেন তার পক্ষে সমর্থন আরো জোরদার করার চেষ্টা করছেন। সোমবারেই তিনি দেশে ফেরার পরিকল্পনা করেছেন। যদিও তার দেশে ফেরা নিয়ে সব তথ্য, এমনকী তিনি এখন কোথায় আছেন সেটাও গোপন রাখা হয়েছে।

দেশে ফেরার পর যদি গুইদোকে গ্রেপ্তার করা হয় তবে তা তার আন্দোলনের পক্ষে যেতে পারে। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদি গুইদোকে গ্রেপ্তার করা হয় তবে বিরোধীদল মাদুরো প্রশাসনের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক বিরোধীমত দমনপীড়নের অভিযোগ আনতে পারবে। এমনকি সেক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র দেশটির উপর আরো কঠিন নিষেধাজ্ঞা আরোপের সুযোগ পাবে।

তবে একইসঙ্গে বিরোধীদলগুলো নেতৃত্বও হারাবে। গত এক বছর ধরে মাদুরো সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত দলগুলোকে গুইদোই একত্রিত করে আন্দোলন বেগবান করেছেন।

সরকারকে হুমকি দিয়ে গুইদো বলেন, “যদি সরকারের সাহস থাকে তবে আমাদের ধরে নিয়ে যাক। অবশ্যই এটি তাদের শেষ ভুল হবে।” যদি তাকে গ্রেপ্তার করা হয় তবে আন্দোলন কোন পথে চলবে সে বিষয়েও ‘যাবতীয় পরিকল্পনা সম্পন্ন’ হয়েছে বলে জানান তিনি।

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি কলম্বিয়া থেকে ভেনেজুয়েলায় মানবিক ত্রাণ পাঠানোর চেষ্টা করা হলে মাদুরো অনুগত সেনাদের বাধার মুখে ত্রাণবাহী ট্রাকগুলো ফেরত যায়।

ত্রাণ নিয়ে গণ্ডোগোলের মধ্যেই কোনো এক সময় গুইদো গোপনে কলম্বিয়া চলে যান। কলম্বিয়া থেকে তিনি আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, ইকুয়েডর এবং প্যারাগুয়ে সফর করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষে সমর্থন আরো জেরাল করার কাজ করেছেন।

রোববার তিনি ইকুয়েডরের উপকূলীয় শহর সালিনাস থেকে উড়োজাহাজে করে রওয়ানা হন। তারপর থেকে তাকে আর জনসম্মুখে দেখা যায়নি। সোমবার সকালে কারাকাস ফিরতে তিনি বোগোটা বা পানামা সিটি থেকে কোনো বাণিজ্যিক ফ্লাইট ধরতে পারেন।