শনিবার পররাষ্ট্র বিভাগের এক বিবৃতিতে নেওয়ার্ট বলেন, পারিবারিক কারণে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
গত দু’মাস পরিবারের জন্য খুবই কঠিন সময় গেছে এবং পরিবারের স্বার্থেই তিনি নাম প্রত্যাহার করছেন বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেন।
পরিবারকে কী ধরনের সমস্যা পড়তে হয়েছে বিবৃতিতে তা সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করেননি নেওয়ার্ট। তবে ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকা জানিয়েছে, পরিবারকে নিউ ইয়র্কে ফেলে এসে ওয়াশিংটনে কাজ করতে হচ্ছিল নেওয়ার্টকে।
গত বছর অক্টোবরে জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন দূত নিকি হ্যালি পদ ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন। এর পরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ডিসেম্বরে নতুন দূত হিসেবে নেওয়ার্টকে মনোনীত করেছিলেন।
বর্তমানে নেওয়ার্ট মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছেন। তবে সরকারে তার দু’বছরেরও কম সময় কাজের অভিজ্ঞতা এবং কূটনৈতিক অভিজ্ঞতার অভাবের কারণে নেওয়ার্ট জাতিসংঘ দূতের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন কি-না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনেকে। এর মধ্যেই মনোনয়ন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেন তিনি।
ব্লুমবার্গের খবরে বলা হয়েছে, নেওয়ার্টের পরিবারে একজন ন্যানি রাখা হয়েছে। যিনি যুক্তরাষ্ট্রে বৈধভাবে বাস করলেও তার কাজের ভিসার কাগজপত্র ঠিক নেই। হোয়াইট হাউসকে বিষয়টি সম্পর্কে জানানোর পরই নেওয়ার্টের সরে দাঁড়ানোর এ সিদ্ধান্ত এল।
এ ব্যাপারে নেওয়ার্টের তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তিনি সরে যাওয়ার পর এখন কে সে জায়গায় মনোনীত হতে পারেন সে সম্পর্কে হোয়াইট হাউসও কিছু জানায়নি।