ইরাক সীমান্তের কাছে দেইর আল-জোরে আইএসের ‘শেষ আস্তানায়’ যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত কুর্দি বাহিনীর ধারাবাহিক অভিযানের মধ্যে এক টুইট বার্তায় তিনি এ আহ্বান জানান বলে খবর বিবিসির।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠীটি আইএসের ‘খেলাফত’ পতনের দ্বারপ্রান্তে বলেও মন্তব্য করেছেন।
“আইএস যোদ্ধারা ইউরোপে অনুপ্রবেশ করুক তা দেখতে চায়না যুক্তরাষ্ট্র, সেখানেই তাদের যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা অনেক করেছি, অনেক খরচ করেছি। এখন সময় অন্যদের এগিয়ে আসা, এবং সেটাই করা যা করতে তারা সক্ষম,” লিখেছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, সিরিয়ায় ধরা পড়া যোদ্ধাদের বিচারের মুখোমুখি না করা হলে তাদের একাংশ ইউরোপের দেশগুলোকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।
এর আগে শুক্রবার যুক্তরাজ্যের বৈদেশিক গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান অ্যালেক্স ইয়ংগার ইউরোপে আইএসের হামলার ব্যাপারে আশঙ্কার কথা বলেছিলেন।
তিনি সিরিয়ায় পরাজয়ের মধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক এ জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্যরা ‘বিপজ্জনক দক্ষতা ও যোগাযোগ’ ব্যবহার করে পুনরায় সংগঠিত হয়ে একাধিক হামলার পরিকল্পনা করছে বলেও উদ্বেগ জানিয়েছিলেন।
আইএসে যোগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে ২০১৫ সালে লন্ডন ছাড়া তিন স্কুলশিক্ষার্থীর অন্যতম শামীমা বেগমকে ফেরত নেওয়া নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই ইউরোপের দেশগুলোকে উদ্দেশ্য করে টুইটটি করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
শামীমার পরিবারও মেয়েকে দেশে ফেরত আনতে আগ্রহী। দেশ ছাড়ার তিনবছরেরও বেশি সময় পর এ ‘আইএস সদস্য’ ফিরতে চাইলেও তাকে ফেরত আনতে যুক্তরাজ্য এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।