রোববার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দৈনিক আসাহি, খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনা শুরু ও উত্তেজনা প্রশমনের কৃতিত্বস্বরূপ জাপানের প্রধানমন্ত্রী যে তার নাম নোবেল পুরস্কারের জন্য প্রস্তাব করেছিলেন, শুক্রবার হোয়াইট হাউসের এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প তা নিজেই জানিয়েছিলেন।
আবে পাঁচ পৃষ্ঠার ওই মনোনয়নপত্রের ‘সবচেয়ে সুন্দর প্রতিলিপিটি’ তাকে দিয়েছিলেন বলেও জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
কিন্তু আবের প্রস্তাব যে ‘যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধেই’, এবার সে খবর দিল আসাহি।
জাপান সরকারের অনামা এক সূত্রের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি জানায়, গত বছরের জুনে সিঙ্গাপুরের সানতোসা দ্বীপে উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উনের সঙ্গে দায়িত্বরত কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রথম ঐতিহাসিক বৈঠকের পর যুক্তরাষ্ট্র সরকারই ‘ট্রাম্পকে মনোনয়ন দিতে আবেকে অনুরোধ করেছিল’।
এ প্রসঙ্গে হোয়াইট হাউসের মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করা হলেও তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
টোকিওতে জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানান, তারা নোবেল শান্তি পুরস্কারের মনোনয়ন বিষয়ে ট্রাম্পের মন্তব্য সম্পর্কে অবগত।
“দুই নেতার সম্পর্ক নিয়ে মন্তব্যের বিষয়ে আমরা বিরত থাকছি,” বলেছেন তিনি।
নোবেল ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটে মনোনয়ন দিতে সক্ষম নির্দিষ্ট ব্যক্তিরাই কেবল শান্তি পুরস্কারের জন্য কাউকে মনোনীত করতে পারেন বলে জানানো হয়েছে। এ নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে চলতি দায়িত্বে থাকা রাষ্ট্র প্রধানরাও রয়েছেন।
ফাউন্ডেশনের নিয়ম অনুযায়ী, প্রস্তাবিত হওয়ার পরও যারা পুরস্কার পান না, তাদের নাম ও এ সংক্রান্ত সকল তথ্য ৫০ বছরের আগে প্রকাশ করা হয় না।