ব্রাজিলে বাঁধ ধসে নিহত ৩৪, নিখোঁজ ২৫০

ব্রাজিলের দক্ষিণপূর্ব অঞ্চলে একটি আকরিক লোহার খনির কাছে বাঁধ ভেঙে অন্তত ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দেশটির কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Jan 2019, 03:58 AM
Updated : 27 Jan 2019, 08:54 AM

শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুরের এ ঘটনায় খনি বর্জ্যের বিশাল এক প্রবাহ নেমে এসে খনির স্থাপনাগুলো ধ্বংস করে নিকটবর্তী একটি বসতিকে বিচ্ছিন্ন করে দেয় বলে খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

দেশটির মিনাস জেরাইস রাজ্যের দমকল বিভাগ নিহতের সর্বশেষ সংখ্যা নিশ্চিত করে আহত আরও ২৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে।

খনিটির স্বত্বাধিকারী কোম্পানি ভালি এসএ নিখোঁজ ব্যক্তিদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে, তাতে এখনও প্রায় ২৫০ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে দেখা গেছে।

নিহতরা প্রায় সবাই ভালির কর্মী অথবা ঠিকাদার বলে জানিয়েছেন পুলিশের এক মুখপাত্র।

শনিবার রাতে উদ্ধারকাজ স্থগিত রাখা হয়। রোববার সকালে তা আবার শুরুর কথা রয়েছে।

ব্রুমাজিনো শহরের কাছের এই খনিটির স্থাপনা ও নিকটবর্তী বাড়িগুলো কাদার নিচে চাপা পড়েছে। এসব স্থাপনা ও বাড়িতে এবং আটকা পড়া একটি বাস ও ট্রেনে জীবিতদের পাওয়া যেতে পারে বলে আশা করছেন উদ্ধারকারীরা।

নিহতের সংখ্যা হঠাৎই বাড়তে শুরু করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ব্রুমাজিনোর মেয়র আভিমার দি মেলো বার্সেলোস।

রয়টার্সের প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিক কাদার প্রবাহে ধসে পড়া বাড়ি, ভেঙে পড়া রাস্তা ও ধ্বংস হয়ে যাওয়া রেল সেতু দেখেছেন।

নিকটবর্তী একটি ফুটবল মাঠ থেকে ডজনখানেক হেলিকপ্টার ওঠানামা করতেও দেখেছেন তিনি। এসব হেলিকপ্টার পুরো এলাকার ওপর নজর রাখছে।

মিনাস জেরাইসের গভর্নর রোমেউ জেমা এক সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, “দুর্ভাগ্যজনকভাবে, এ পর্যায়ে জীবিত কাউকে পাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। আমাদের সম্ভবত শুধু লাশই উদ্ধার করতে হবে।”

দেশের সবচেয়ে বড় খনি কোম্পানি ভেলের নিয়ন্ত্রণে থাকা বাঁধটি কী কারণে ধসে পড়ল তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।

ঘটনার সময় বাঁধ সংলগ্ন ক্যাফেটেরিয়ায় অসংখ্য শ্রমিক দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন। বাঁধ ভেঙে যাওয়ার পর ওই ক্যাফেটেরিয়াটি কাদায় চাপা পড়ে।

তিন বছর আগে মিনাস জেরাইসে একই কোম্পানির আরেকটি বাঁধ ধসের ঘটনায় ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনেরো একে ‘ভয়াবহ দুর্ঘটনা’ অ্যাখ্যা দিয়েছেন। শনিবার সকালে মিনাস জেরাইসে এসে হেলিকপ্টারে করে দুর্ঘট্নাস্থলের অবস্থা স্বচক্ষে দেখে গিয়েছেন তিনি।