বিবিসি জানিয়েছে, মেকং নদীর ধারে এই দুজনের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল। তাদের মুখ বিকৃত করা ছিল এবং তাদের পেট চিরে কংক্রিটের ব্লক ভরে দেওয়া হয়েছিল।
এই দুজন ও জনাব সুরাচাই একটি গোষ্ঠীর সদস্য ছিলেন। ২০১৪ সালে থাইল্যান্ডে সামরিক অভ্যুত্থানের পর গোষ্ঠীটি লাওসে নির্বাসনে চলে যায়।
গত ১২ ডিসেম্বর এরা তিন জনই নিখোঁজ হন। সুরাচাইয়ের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা অজানাই রয়ে গেছে।
মানবাধিকার গোষ্ঠী হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, লাওসে বসবাস করছিলেন এমন পাঁচ জন থাইল্যান্ড সরকারের সমালোচনাকারী গত দুই বছরে নিখোঁজ হয়েছেন।
ডিসেম্বরের শেষ দিকে ওই মৃতদেহগুলো পাওয়া যায়। তাদের একজনের লাশ নদীতে ভাসছিল বলে জানা গেছে। দুজনের মৃতদেহই বস্তা ও মাছ ধরার জালে প্যাঁচানো অবস্থায় দড়ি দিয়ে বাঁধা ছিল।
ডিএনএ পরীক্ষার পর তাদের ক্রাইদেজ লুয়েলেয়ার্ট ও চাটচান বুফাওয়ান বলে শনাক্ত করা হয়েছে।
এই সময় তৃতীয় আরেকটি লাশ পাওয়া গিয়েছিল, তারপর তা আবার হারিয়ে যায় বলে অসমর্থিত কয়েকটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এইসব নিখোঁজের ঘটনায় তারা জড়িত নেই বলে দাবি করেছেন থাই নিরাপত্তা কর্মকর্তারা; তবুও এই ঘটনায় আন্দোলনকারীদের মধ্যে সরকারিভাবে অনুমোদিত ‘ডেথ স্কোয়াড’ এর মাধ্যমে অপহৃত হওয়ার আতঙ্ক তৈরি হয়েছে বলে খবর বিবিসির।