সোমবার ভোরে দ্বিতীয় এই ব্ল্যাক বক্সটি উদ্ধার করা হয়। দিনের পরবর্তী সময় ইন্দোনেশিয়ার কর্তৃপক্ষ সিভিআরটি থেকে তথ্য ডাউনলোড করা শুরু করবে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ডাউনলোড করা তথ্য থেকে বিধ্বস্ত উড়োজাহাজটির পাইলটদের শেষ মূহুর্তের পদক্ষেপগুলোর সাক্ষ্য পাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
দুই মাসেরও বেশি সময় আগে ১৮৯ জন আরোহী নিয়ে উড়োজাহাজটি সাগরে বিধ্বস্ত হয়েছিল। এটি বোয়িং কোম্পানির ৭৩৭ ম্যাক্স জেট বিধ্বস্তের প্রথম ঘটনা এবং ২০১৮ সালের সবচেয়ে প্রাণঘাতী বিমান দুর্ঘটনা।
এর আগে এ ধরনের ডাউনলোড, তথ্য বিশ্লেষণ ও তা রূপান্তর করতে তিন মাসের মতো সময় লেগেছিল বলে জানিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার পরিবহন নিরাপত্তা কমিটির উপপ্রধান হারিয়ো সাতমিকো।
এ কাজ করার জন্য তাদের নিজেদের ল্যাবরেটরি ও টিম আছে বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন তিনি।
২৯ অক্টোবর রাজধানী জাকার্তা থেকে টিন খনি সমৃদ্ধ শহর পিংকাল পিনাংয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার ১৩ মিনিট পর ফ্লাইট জেটি৬১০-র সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
ইন্দোনেশিয়ার পরিবহন নিরাপত্তা কমিশনের প্রাথমিক প্রতিবেদনে এয়ারলাইনের রক্ষণাবেক্ষণ ও প্রশিক্ষণের পাশাপাশি বোয়িংয়ের এন্টি-স্টল সিস্টেম ও সম্প্রতি পরিবর্তন করা সেন্সরের বিষয়ে আলোকপাত করা হলেও উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের কোনো কারণ নির্দেশ করা হয়নি।
এ দুর্ঘটনায় নিহতদের একদল স্বজন পরিবহন নিরাপত্তা কমিটির কাছে ‘যা রেকড হয়েছে তার সবকিছু’ প্রকাশ করার ও তাদের স্বাধীনভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে।
ইন্দোনেশীয় নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল আগুং নাগ্রোহো রয়টার্সকে জানিয়েছেন, কয়েকদিন আগে রেকর্ডারটির একটি সঙ্কেত শনাক্ত হয়, এরপর পানির ৩০ মিটার গভীরে সাগরতলের নরম কাদার ভিতরে সিভিআরটি পাওয়া যায়।