সোমবার রাত ৮টা ২০ মিনিটের দিকে হওয়া ওই হামলায় বয়স ৫০ এর ঘরে থাকা এক পুরুষ ও এক নারী ছুরিকাহত হন বলে জানিয়েছে বৃহত্তর ম্যানচেস্টার পুলিশ।
হামলাকারী ব্যক্তি ব্রিটিশ এক ট্রান্সপোর্ট পুলিশ কর্মকর্তার কাঁধেও ছুরি দিয়ে আঘাত করে। আহত তিনজনের অবস্থা ‘গুরুতর’ হলেও তাদের কারও অবস্থাই প্রাণ-সংশয়ী নয় বলে বিবিসি জানিয়েছে।
ছুরি চালিয়ে হত্যাচেষ্টার এ ঘটনায় সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে পুলিশ আটকও করেছে।
সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলার দায়িত্বে থাকা পুলিশ ঘটনাটির তদন্তে নেতৃত্ব দিচ্ছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। যদিও ছুরি হামলার ঘটনাটির সঙ্গে উগ্র জঙ্গিবাদের কোনো যোগ আছে কিনা তা জানাননি তারা।
বয়স ত্রিশের ঘরে থাকা আহত পুলিশ কর্মকর্তাকে মঙ্গলবার হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বিবিসির প্রযোজক স্যাম ক্ল্যাক ঘটনার সময় ম্যানচেস্টারের ওই রেলস্টেশনেই ছিলেন। তিনি স্টেশনে ট্রাম প্ল্যাটফরমে এক ব্যক্তিকে ছুরিকাহত হতে দেখেন। হামলার সময় ছুরি হাতে থাকা ব্যক্তি ‘আল্লাহ’ বলে চিৎকার দিয়ে উঠেছিলেন এবং পশ্চিমা সরকারগুলোর বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছিলেন বলেও জানান তিনি।
হামলাকারী পরে ১২ ইঞ্চির মতো ‘লম্বা কিচেন ছুরি’ নিয়ে যে পথ দিয়ে হেঁটে যায় তার খুব কাছেই ছিলেন স্যাম।
“সে আমার দিকে এগিয়ে আসছিল, পুলিশ তার দিকে যাচ্ছিল। এটা ছিল আতঙ্কের, তীব্র আতঙ্কের,” বলেন বিবিসির এ কর্মী।
৬-৭ জন পুলিশ পরে পিপার স্প্রে ও তাসের (যা দিয়ে স্বল্প সময়ের জন্য কাউকে অসাড় বানিয়ে রাখা যায়) ব্যবহার করে হামলাকারীকে আটক করে।
হামলায় এক নারীর মুখে ও পেটে এবং পুরুষটির পেটে আঘাত লেগেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
“আজকের রাতের ঘটনা স্বভাবতই সাধারণ মানুষজনকে উদ্বিগ্ন করলেও ঘটনাটির সমাপ্তি ঘটেছে বলে আমি জোর দিয়ে বলতে চাই। এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। এখনকার তথ্য অনুযায়ী আর বিস্তৃত হামলার শঙ্কা নেই বলেও ধারণা করা হচ্ছে,” বলেন পুলিশের সহকারী প্রধান কনস্টেবল রব পটস।