বোমাটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন এবং এটি বিমান থেকে নিক্ষেপ করার মতো করে তৈরি করা বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা, খবর এনডিটিভির।
শুক্রবার বোমাটি পাওয়ার পর এলাকাটি ঘেরাও করে রাখা হয় এবং নৌবাহিনী ও সেনাবাহিনীকে খবর দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন কলকাতা বন্দর ট্রাস্টের চেয়ারম্যান বিনিত কুমার।
“গতকাল (শুক্রবার) দুপুর প্রায় ২টার দিকে (স্থানীয় সময়) ড্রেজিং চলাকালে নেতাজি সুভাষ বোস ডকের ২ নম্বর বার্থে চার দশমিক পাঁচ মিটার লম্বা আকাশ থেকে নিক্ষেপযোগ্য বোমাটি পাওয়া যায়। আমরা প্রথমে এটিকে টর্পেডো মনে করেছিলাম, কিন্তু এটিকে একটি বোমা বলে নিশ্চিত করেছে নৌবাহিনী,” শনিবার বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) বলেছেন তিনি।
সমরাস্ত্র কারখানার কর্মকর্তাদের সহায়তা নিয়ে বোমাটি নিষ্ক্রিয় করা হতে পারে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
পশ্চিমবঙ্গে নৌবাহিনীর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কমোডোর সুপ্রোভো কে. দে জানিয়েছেন, বোমাটির মধ্যে অনেকগুলো সিকিউরিটি লক যুক্ত থাকায় হঠাৎ বিস্ফোরিত হওয়ার কোনো ঝুঁকি নেই।
“এটি আকাশ থেকে নিক্ষেপযোগ্য ৪৫০ কেজির একটি বোমা এবং এটিকে বিমানের সঙ্গে আটকানোর জন্য এর মধ্যে বেশ কয়েকটি ব্র্যাকেট বসানো আছে। বোমাটির মধ্যে কয়েকটি লক সংযুক্ত থাকায় এ থেকে বিপদের আশঙ্কা নেই বলে মনে হচ্ছে। আর আকাশ থেকে নিক্ষেপযোগ্য বোমাকে ফাটাতে হলে একটি নির্দিষ্ট উচ্চতা থেকে নিক্ষেপ করতে হয়,” বলেছেন তিনি।
এই বোমাটি নিয়ে নৌবাহিনীর তেমন কিছু করার নেই বলে জানিয়েছেন কমোডোর দে।
এ বিষয়ে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ সমরাস্ত্র কারখানার সহায়তা কামনা করবে এমনটি আশা করছেন বলে জানিয়েছে তিনি, তবে প্রয়োজন হলে সহায়তা দিতে তারা ভিজাগ নৌঘাঁটির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হুগলি নদীর পূর্ব পারে অবস্থিত নেতাজি সুভাষ বোস ডকটি মার্কিন নৌবাহিনী ব্যবহার করেছিল।