ম্যাটিসের পদত্যাগ, ট্রাম্প বলছেন ‘অবসর’

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস পদত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যমগুলো।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Dec 2018, 04:35 AM
Updated : 21 Dec 2018, 08:22 AM

অন্যদিকে বৃহস্পতিবার এক টুইট বার্তায় দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী বছর ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে ম্যাটিস ‘সসম্মানে’ দায়িত্ব থেকে অবসরে যাচ্ছেন বলে জানান।

শিগগিরই নতুন প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর নামও ঘোষণা করা হবে, বলেন তিনি।

সিরিয়া থেকে সব মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারে ট্রাম্পের ঘোষণার একদিন পরই ম্যাটিসের দায়িত্ব ছাড়ার এ ঘোষণা এল বলে জানিয়েছে বিবিসি।

“বন্ধু নির্ধারণ ও সামরিক বাধ্যবাধকতা মেনে চলার ক্ষেত্রে অন্য দেশগুলোর অংশীদারিত্ব নিশ্চিতে জেনারেল ম্যাটিস অসাধারণ সাহায্য করেছেন,” প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর পদত্যাগের কথা জানিয়ে বলেন ট্রাম্প।

পদত্যাগপত্রে ম্যাটিস লিখেছেন, তার দর্শন ছিল ‘মিত্রদের মর্যাদার সঙ্গে দেখা’ এবং ‘যুক্তরাষ্ট্রের সব শক্তিকে কাজে লাগিয়ে’ একটি সাধারণ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাপনা দাঁড় করানো।

“এসব ও অন্যান্য বিষয়ে আপনার বিবেচনার সঙ্গে খাপ খায় এমন কাউকেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বানানোর অধিকার আপনার রয়েছে। আমার মনে হয়, সরে দাঁড়ানোর এটিই সঠিক সময়,” ট্রাম্পের উদ্দেশ্যে তিনি এমনটাই লিখেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

ম্যাটিসের পদত্যাগ রিপাবলিকান পার্টির ভেতরেও তুমুল প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। সিনেটর মার্কো রুবিও একে ‘ভীতি উৎপাদক’ হিসেবেও অ্যাখ্যা দিয়েছেন।

“ট্রাম্প প্রশাসনের ভেতর বিশৃঙ্খলার মধ্যেও জেনারেল ম্যাটিস ছিলেন স্থিতিশীলতার প্রতিমূর্তি,” বলেছেন তিনি।

জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটকে পরাজিত করার দাবি জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বুধবার সিরিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সব সৈন্য ফিরিয়ে আনার ঘোষণা দেন। দেশটিতে এখন হাজার দুয়েক মার্কিন সেনা অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।

ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্ত দেশে-বিদেশে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়ে। রিপাবলিকান পার্টির সিনেটররা বলছেন, মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার করা হলে ওই অঞ্চলে ইরান ও রাশিয়ার প্রভাব বেড়ে যাবে।

নেটো মিত্র যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স বলছে, তারা সিরিয়া-ইরাকে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের পরাজয়ের ব্যাপারে ট্রাম্পের ধারণার সঙ্গে একমত নয়। জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রী হেইকো মাস বলেছেন, মার্কিন সিদ্ধান্তে আইএসবিরোধী যুদ্ধ বড় ধরনের ঝুঁকিতে পড়বে।

ট্রাম্প সিরিয়া থেকে সৈন্য প্রত্যাহারে ঘোষণা দিলেও কতদিনের মধ্যে তাদেরকে ফিরিয়ে আনা হবে তা জানায়নি হোয়াইট হাউস। সামরিক কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমস বলছে, প্রেসিডেন্ট ৩০ দিনের মধ্যে সিরিয়ায় থাকা সৈন্যদের দেশে দেখতে চান।

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এ সিদ্ধান্ত বিস্মিত করেছে কুর্দি নেতৃত্বাধীন জোট সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সকেও (এসডিএফ)।এ সিদ্ধান্ত আইএসবিরোধী অভিযানে ‘নেতিবাচক প্রভাব’ ফেলবে, যা জঙ্গিগোষ্ঠীটির পুনরুত্থানের ঝুঁকি তৈরি করবে বলেও মন্তব্য করেছে তারা।