ইয়েমেন যুদ্ধে সৌদি জোটকে সমর্থন বন্ধে মার্কিন সিনেটের চাপ

ইয়েমেন যুদ্ধে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের পক্ষে অবস্থান জানিয়েছেন বেশিরভাগ মার্কিন সিনেটর।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Dec 2018, 07:22 AM
Updated : 14 Dec 2018, 07:55 AM

বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষে ৫৬-৪১ ভোটে পাস হয় বলে বিবিসি জানিয়েছে।

সিনেটের এই অবস্থান মানতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন বাধ্য না হলেও ডেমোক্রেটদের পাশাপাশি রিপাবলিকান সিনেটরদের সৌদিবিরোধী অবস্থান মার্কিন প্রেসিডেন্টের ওপর চাপ বাড়াবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

ট্রাম্প সম্প্রতি সৌদি জোটকে সমর্থন দিয়েই ইয়েমেনে যুদ্ধবিরতির পথে এগিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাইক পম্পেও মুখেও একই সুর শোনা গেছে।

বৃহস্পতিবার সিনেটে তোলা অন্য এক প্রস্তাবে আইনপ্রণেতারা সর্বসম্মতিক্রমে তুরস্কের সৌদি কনসুলেটে সাংবাদিক জামাল খাশুগজি হত্যায় সৌদি ক্রাউন প্রিন্সকেই দায়ী করেছেন।

প্রস্তাবে সিনেটররা ইয়েমেন যুদ্ধে লড়াইরত সব মার্কিন সৈন্যকে ফিরিয়ে আনতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানান। তবে ইসলামী উগ্রবাদীদের বিরুদ্ধে যারা লড়াই করছে, তারা এর আওতায় পড়বে না।

কয়েক দশকের মধ্যে এবারই প্রথম মার্কিন কংগ্রেসের কোনো কক্ষে যুদ্ধরত সৈন্যদের ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব পাস হল।

খাশুগজি হত্যাকাণ্ডের পর গত মাস থেকে যুক্তরাষ্ট্র সৌদি যুদ্ধবিমানে জ্বালানি ভরার কাজ বন্ধ করে দিয়েছিল।

উটাহ’র রিপাবলিকান সিনেটর মাইক লি-র সঙ্গে ভারমন্টের স্বতন্ত্র সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স বৃহস্পতিবারের প্রস্তাবটি ভোটে তুলেছিলেন। 

“সৌদি আরবের নিষ্ঠুর সরকারকে আজ আমরা বলেছি, আমরা তাদের সামরিক কর্মকাণ্ডের অংশ নই। বিশ্বে এ মুহুর্তে চলা সবচেয়ে অমানবিক দুর্যোগে যুক্তরাষ্ট্র আর অংশীদার হবে না,” ভোটের পর বলেন স্যান্ডার্স।

সিনেটের এ প্রস্তাবে ভিটো ক্ষমতা প্রয়োগের ঘোষণা আছে ট্রাম্পের। রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভেও এটি উৎরানোর কথা নয়।

তবে স্যান্ডার্স বলছেন, আগামী বছর ডেমোক্রেটরা নিম্নকক্ষের নিয়ন্ত্রণ নিলেই প্রস্তাবটি আলোর মুখ দেখার ক্ষেত্রে অনেকখানি এগিয়ে যাবে।

ট্রাম্প প্রশাসন বলছে, সৌদি জোটের ওপর থেকে সমর্থন তুলে নিলে তার সুফল পাবে ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা। সৌদি আরবের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখার ওপরও জোর দিচ্ছে হোয়াইট হাউস। ট্রাম্পের উপদেষ্টা ও জামাতা জ্যারেড কুশনারের সঙ্গে সৌদি ক্রাউন প্রিন্সের সম্পর্কও অটুট, বলছে মার্কিন গণমাধ্যমগুলো।