নতুন আইন আনুযায়ী আগামী এপ্রিল থেকে বিশেষ করে নির্মাণ, খামার ও নাসিং সেক্টরে বিদেশি শ্রমিকদের নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানায় বিবিসি।
ঐতিহ্যগতভাবে জাপান অভিবাসী শ্রমিকদের বিষয়ে খুবই সতর্ক আচরণ করে। কিন্তু দেশটিতে জন্মহারের নিম্মগতি এবং বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে।
এ সংকট মোকাবেলা করতেই জাপান সরকার বিদেশি শ্রমিক নিয়োগের বিষয়ে নতুন এই আইন প্রণয়ন করেছে। যদিও নতুন আইন নিয়ে অনেক সমালোচনা হচ্ছে।
নতুন আইনে যেসব সেক্টরে শ্রম সংকট দেখা দিয়েছে সেখানে কাজ করতে তিন লাখের বেশি বিদেশি শ্রমিকদের নিয়োগের অনুমতি দেওয়া হবে।
এই আইনে দুই ক্যাটাগরিতে শ্রমিক ভিসা দেওয়া হবে। প্রথম ক্যাটাগরিতে নির্ধারিত মাত্রার নৈপুণ্য এবং দক্ষতার জন্য পাঁচ বছর মেয়াদে ভিসা দেওয়া হবে।
দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে অত্যন্ত দক্ষ শ্রমিকদের ভিসা দেওয়া হবে এবং নির্দিষ্ট নীতিমালার অধিনে এই ভিসাধারীরা জাপানে স্থায়ীভাবে বসবাসের আবেদন করার অনুমতি পাবেন।
অদক্ষ বা কম দক্ষ বিদেশি শ্রমিকদের জন্য বর্তমানে য়ে ‘প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ’ প্রকল্প চালু আছে তাতে নিয়োগকর্তা দ্বারা শ্রমিকরা নির্যাতনের শিকার হতে পারে বলেও জানায় বিবিসি।
প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বলেন, প্রস্তাবিত আইনে তিনি কোনো ভাবেই জাপানের অভিবাসন নীতি ঢেলে সাজাতে যাচ্ছেন না।
তিনি বলেন, “জাপান শুধুমাত্র ওই সব বিদেশি শ্রমিকদের ভিসা দেবে যারা বিশেষভাবে দক্ষ এবং দেশে যে শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে তা দ্রুত পূরণ করতে সক্ষম হবে। শুধু ওই সব সেক্টরে যেখানে সত্যিই শ্রমিক প্রয়োজন।”
জাপানে জন্মহার কমতে কমতে মাইনার ২ দশমিক ১ এ দাঁড়িয়েছে। সেখানে নারী প্রতি শিশু জন্মের হার মাত্র ১ দশমিক ৪। এছাড়া বিশ্বের সবচেয়ে বেশি আয়ুর দেশগুলোর একটি জাপান। সেখানে মানুষের গড় আয়ু ৮৫ বছরের বেশি।