নতুন নেতা নির্বাচন করছে মের্কেলের দল, জার্মানিতে নতুন অধ্যায়

জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেল আবেগঘন বিদায়ী ভাষণের মধ্য দিয়ে দলীয়প্রধানের পদে ইস্তফা দিচ্ছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Dec 2018, 03:56 PM
Updated : 7 Dec 2018, 05:10 PM

তার দল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাটস (সিডিইউ) শুক্রবারই নতুন নেতা নির্বাচনে ভোট দিচ্ছে। মের্কেলের বদলে কে দলের প্রধান হচ্ছেন তা জানা যাবে এদিনই৷

হামবুর্গে সিডিইউ’র প্রতিনিধিরা ভোটের মাধ্যমে দলের প্রধান নির্বাচন করবেন৷ সম্ভাব্য প্রধান হিসেবে তিন জনের নাম আলোচনায় এসেছে। এরা হলেন, আনেগ্রেট ক্রাম্প-কারেনবাউয়ার, ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎস এবং ইয়েন্স স্পান৷

মের্কেল আনেগ্রেট ক্রাম্প-কারেনবাউয়ারকেই তার উত্তরসূরি বিবেচনা করে তাকে সমর্থনের ইঙ্গিত দিয়েছেন।ফলে কারেনবাউয়ার নির্বাচিত হলে দলে মের্কেলর নীতিই বহাল থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে৷ তাই কারেনবাউয়ারকে ‘মিনি-ম্যার্কেল'ও বলা হচ্ছে৷

এর পরবর্তী অবস্থান অর্থাৎ, দ্বিতীয় স্থানে আছেন ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎস৷ প্রায় ৩০ শতাংশ ভোটার তাকে মের্কেলের উত্তরসূরি হিসেবে পছন্দ করেছে৷

তবে মের্কেলের শরণার্থী নীতির সমর্থক নন তিনি৷ বরং ম্যার্ৎসের অভিবাসনবিরোধী বক্তব্যের কারণে জার্মানির জোট সরকারের শরিক এসপিডি তাকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তুলনা করে ‘ট্রাম্প লাইট’ আখ্যা দিয়েছে।

মের্কেল তার বিদায়ী ভাষণে ঘরে-বাইরে সবখানেই উদারনৈতিক মূল্যবোধের সুরক্ষিত রাখার ওপর জোর দিয়েছেন। সামনের দিনগুলোতে জলবায়ু পরিবর্তন, ইউরোপের সঙ্গে একতা এবং ব্রেক্সিটসহ নানা চ্যালেঞ্জিং বিষয় সম্পর্কেও সবাইকে সতর্ক করেছেন।

মের্কেল বলেন, “দলে আবদ্ধ থাকার জন্য আমার পার্টি চেয়ারম্যান পদে থাকার প্রয়োজন নেই।আমি এখনো চ্যান্সেলর আছি।” মের্কেল ২০০৫ সালে প্রথম জার্মানির চ্যান্সেলর নির্বাচিত হন। ২০২১ সালের পর তিনি আর পরবর্তী মেয়াদের জন্য ভোটে লড়বেন না বলে জানিয়েছেন।