গত বৃহস্পতিবার ওই নারীর মৃতদেহ পাওয়ার পর থেকে গ্রামবাসীরা ওই হ্রদের পানি পান করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসায় হ্রদের পানি ফেলে দেওয়া শুরু করে কর্তৃপক্ষ, খবর এনডিটিভির।
কর্নাটকের হুবালি জেলার মোরাব গ্রামের পাশে হ্রদের পানিতে প্রায় ত্রিশ বছর বয়সী ওই নারীর মৃতদেহটি পাওয়া যায়। লাশটি ফুলে গিয়েছিল ও মাছেরা এর অর্ধেকটা খেয়ে ফেলেছিল। এতে গ্রামবাসীর ধারণা হয় হ্রদের পানি এইচআইভি জীবাণুতে দূষিত হয়ে গেছে।
কর্তৃপক্ষ প্রথমে গ্রামবাসীদের বলেছিল তারা পানি পরীক্ষা করে দেখবে, কিন্তু এতে তারা রাজি না হয়ে ওই পানি ব্যবহার করবে না বলে জানিয়ে দেয়। আর কোনো উপায় না পেয়ে কর্তৃপক্ষ চারটি মোটর লাগিয়ে পানি ফেলে দেওয়া শুরু করে।
স্থানীয় তাহশিলদার নাভীন হুলার জানিয়েছেন, এক হাজারেরও বেশি লোক হ্রদের পাশে আটটি পানির ট্যাঙ্কার নিয়ে এসে জানায়, যদি কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা না নেয় তাহলে তারাই ভাড়া করা এই ট্যাঙ্কারগুলো দিয়ে হ্রদের পানি ফেলে দিবে। এ পরিস্থিতিতে আর কোনো উপায় না থাকায় স্থানীয়দের দাবি মেনে নেন তারা।
বুধবার সন্ধ্যার মধ্যে হ্রদটির সব পানি ফেলে দেওয়া হয়। এরপর হ্রদটিকে পরিষ্কার করার পর স্থানীয় একটি খালের পানি দিয়ে হ্রদটিকে পুনরায় ভরা হবে।
ওই এলাকায় বসবাস করা হাজারেরও বেশি লোক পানের জন্য এই হ্রদটির পানি ব্যবহার করেন।
এইচআইভি আক্রান্ত ওই নারী হ্রদটিতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন বলে খবর ভারতীয় গণমাধ্যমের।