ওই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করলে মালয়েশীয় বন্দরটির অংশ তাদের জলসীমায় ‘ঢুকে পড়বে’ বলে অভিযোগ সিঙ্গাপুরের, খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
সিঙ্গাপুরের এই অভিযোগকে ‘সত্য নয়’ বলে বলে দাবি করেছে মালয়েশিয়া।
বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত জলপথ সিঙ্গাপুর প্রণালীর কিছু অংশ নিয়ে সিঙ্গাপুর-মালয়েশিয়ার মধ্যে বিরোধ বিদ্যমান। মালয়েশিয়ার বন্দর সম্প্রসারণের পরিকল্পনায় সেই বিরোধই আবার দৃশ্যমান হয়েছে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।
সিঙ্গাপুরের পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিতর্কিত জলসীমায় সিঙ্গাপুরের সার্বভৌমত্ব প্রতিফলিত করতে মালয়েশিয়াকে তাদের বন্দরের সম্প্রসারণ থেকে পিছিয়ে যেতে এবং পরবর্তীতে একপাক্ষিকভাবে পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলেছে তারা।
মঙ্গলবার দেওয়া এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, “গভীর উদ্বেগের সঙ্গে আমরা লক্ষ্য করছি সম্প্রতি মালয়েশিয়া তাদের জোহর বাহরু বন্দরের সীমা এমনভাবে বাড়াচ্ছে যে সেটি সিঙ্গাপুরের টুয়াস উপকূলের জলসীমায় ঢুকে পড়ছে।
“এর প্রতিক্রিয়ায় মালয়েশিয়া সরকারের কাছে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে সিঙ্গাপুর।”
গত দুই সপ্তাহ ধরে মালয়েশীয় জাহাজগুলো টুয়াসের উপকূলে সিঙ্গাপুরের জলসীমায় বারবার অনধিকার প্রবেশ করছে বলেও বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সিঙ্গাপুর আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ওই জাহাজগুলোর অনুমোদিত চলাফেরার এবং সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের প্রতিবাদ জানাচ্ছে।”
এসব তৎপরতার বিরুদ্ধে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে সিঙ্গাপুর দ্বিধা করবে না বলেও বিবৃতিতে হুঁশিয়ার করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী আপসে এসব সদস্য সমাধান করার বিষয়েও তারা প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছে সিঙ্গাপুর।
অপরদিকে বুধবার মালয়েশিয়ার পরিবহনমন্ত্রী অ্যান্থনি লোক সিউ ফুক সিঙ্গাপুরের দাবিকে ঠিক নয় বলে অভিহিত করেছেন। সংস্কার করা বন্দরটির সীমা সিঙ্গাপুরের কোনো অংশে অনুপ্রবেশ করেনি বলেও দাবি করেছেন তিনি।