সংস্থার অর্থ ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করাসহ কার্লোসের আরো কয়েকটি অপকর্ম সামনে আসার পর তাকে বরখাস্ত করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিশান কোম্পানি।
সোমবার কোম্পানিটির নির্বাহী প্রধান এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে বলেছেন, বৃহস্পতিবার এক বোর্ড মিটিংয়ের পর কার্লোসকে বরখাস্ত করা হবে।
নিসান কে দেউলিয়াত্বের দ্বারপ্রান্ত থেকে তুলে এনে যিনি প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন সেই নেতারই আজ নাটকীয় পতন ঘটতে চলেছে এর মধ্য দিয়ে।
কার্লোস শুধু নিশানের চেয়ারম্যানই নন বরং কোম্পানিটির ফরাসি অংশীদার রেলন্টের প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তাও।
দীর্ঘদিন ধরেই অনিয়মের অভিযোগ উঠছিল কার্লোসের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে সংস্থার ভেতরেই তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। কয়েকমাস ধরে চলেছে সে তদন্ত।
এতেই দেখা গেছে, তিনি কোম্পানির অর্থ নিজের কাজে ব্যবহার করা ছাড়াও বছরের পর বছর ধরে তার আয় কম করে দেখিয়েছেন।
২০১০ সাল থেকেই জাপানের নিয়মানুযায়ী বিভিন্ন কোম্পানির নির্বাহীদের মধ্যে যাদের আয় ১০ কোটি ইয়েনের ওপরে তাদেরকে পুরো আয় দেখাতে হয়। কার্লোস এ নিয়ম মানেন নি।
নিসানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিরোতো শাইকাওয়া বলেছেন, “কার্লোসের হাতে অনেক বেশি ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হয়ে গিয়েছিল। ফলে নেতৃত্ব পরিচালনায় গুরুতর সমস্যা দেখা দিয়েছিল।”