ক্যালিফোর্নিয়ার দাবানল: ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শনে ট্রাম্প

ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ও ধ্বংসাত্মক দাবানলের ক্ষয়ক্ষতি দেখতে সেখানে গিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Nov 2018, 07:20 AM
Updated : 18 Nov 2018, 07:24 AM

ক্যাম্প ফায়ার নামের ক্যালিফোর্নিয়ার উত্তরাঞ্চলের দাবানলটিতে এ পর্যন্ত অন্তত ৭৬ জন নিহত হয়েছে এবং ১,২৭৬ জন নিখোঁজ রয়েছেন, তবে নিখোঁজের সংখ্যাটি পরিবর্তিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা; খবর বিবিসির।

দাবানলে ধ্বংস হয়ে যাওয়া প্যারাডাইস শহরে গিয়ে ধ্বংসযজ্ঞ দেখে ‘দুঃখ’ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প, কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তন নয় দুর্বল বন ব্যবস্থাপনার কারণেই এসব ঘটেছে বলে নিজের বিতর্কিত অভিযোগ ফের তুলেছেন।

প্যারাডাইস শহরে দাঁড়িয়ে তিনি বলেছেন, “ব্যবস্থাপনার রক্ষাণাবেক্ষণও করতে হবে আমাদের, পরিবেশ নিয়ে কাজ করা গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গেও আমাদের কাজ করতে হবে। আমার মনে হয় না এই পরিসরে এটি আর হবে।” 

ট্রাম্প ‘দুর্বল বন ব্যবস্থাপনাকে’ দোষারোপ করলেও বিশেষজ্ঞরা দাবানলের প্রধান কারণ হিসেবে আবহাওয়া, জলবায়ু পরিবর্তন ও জনসংখ্যার পরিবর্তনকে দায়ী করছেন। 

ক্যাম্প ফায়ার দাবানল ছাড়াও ক্যালিফোর্নিয়ার দমকল কর্মীদের লস অ্যাঞ্জেলসের নিকটবর্তী উওলসি ফায়ারসহ আরও কয়েকটি দাবানলের মোকাবিলা করতে হচ্ছে। উওলসি দাবানল আরও তিন জনের প্রাণ নিয়েছে।

এই দুর্যোগের সঙ্গে যোগ হয়েছে বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়ে ওঠা লোকদের নোরোভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়া ও উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ার বাতাসের মানকে বিশ্বের সবচেয়ে দুষিত ঘোষণা করা। 

আবহাওয়ার ‍পূর্বাভাসে আগামী সপ্তাহে ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। এতে দাবানলের আগুন নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশা করা হলেও দাবানলে বন ধ্বংস হয়ে পাহাড়গুলো উন্মুক্ত হয়ে পড়ায় ভূমিধস ও বন্যার আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে।

ট্রাম্প প্যারাডাইস শহর পরিদর্শনের সময় তার সঙ্গে ক্যালিফোর্নিয়ার ডেমোক্রেট দলীয় গভর্নর জেরি ব্রাউন ও তার সদ্য নির্বাচিত উত্তরসূরী গাভিন নিউসোমও ছিলেন।

পরে তাদের নিয়ে উওলসি দাবানলের ক্ষয়ক্ষতি দেখতে যান ট্রাম্প। এ সময় তিনি জানান, এসব দাবানল সত্বেও জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে তার ধারণায় কোনো পরিবর্তন আসবে না।