বাইবেল জাদুঘরে ‘ডেড সি স্ক্রলের’ জাল পাণ্ডুলিপি

‘ডেড সি স্ক্রল’ নামে পরিচিত হিব্রু বাইবেলের আদি পান্ডুলিপির ৫ টি খণ্ড জাল বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন ডিসির বাইবেল জাদুঘর।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Oct 2018, 03:34 PM
Updated : 23 Oct 2018, 03:34 PM

এ খণ্ডগুলোই এতদিন প্রদর্শনীর জন্য রাখা হয়েছিল জাদুঘরটিতে। অবশেষে খণ্ডগুলো খতিয়ে দেখার পর জাল ধরা পড়ায় সেগুলো সরিয়ে ফেলেছে জাদুঘর কর্তৃপক্ষ।

ওয়াশিংটনের ‘মিউজিয়াম অব দ্য বাইবেল’ এর কাছে এ আদি হিব্রু বাইবেলের ১৬ টি খণ্ড ছিল। এরই ৫ টি খণ্ড পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল জার্মানিতে। পরীক্ষার পর পান্ডুলিপির আদি রূপের সঙ্গে এগুলোর অসঙ্গতি ধরা পড়ে।

প্রথম খণ্ডটি পাওয়া গিয়েছিল ১৯৪৭ সালে ‘ডেড সি’র উত্তরপশ্চিম তীর থেকে আরো এক কিলোমিটার পশ্চিমে ‘কামরান’ নামক পাহাড়ি মরু এলাকার গুহা থেকে। ছাগল চরাতে গিয়ে এক বেদুইন বালক প্রথম এ পান্ডুলিপি খুঁজে পায়।

পরে অন্য বেদুইনরা এ পান্ডুলিপি বিক্রি করে দিয়েছিল পুরাকীর্তি ব্যাবসায়ীদের কাছে। এক বিশপের কাছে এ পুথিগুলো দেখে প্রথম এর গুরুত্ব বুঝতে পেরেছিলেন আমেরিকান স্কুল অব ওরিয়েন্টাল রিসোর্চের ডঃ ট্রেভর।

পরবর্তীতে এগুলো জাল করে সম্পদশালী আমেরিকানদের ধোঁকা দেওয়ার প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় এ পান্ডুলিপি নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হয়। সিএনএন এর তথ্যমতে, ২০০২ সাল থেকে পুরাকীর্তির বাজারে আনুমানিক ৭০ টি জাল স্ক্রল বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

ধনকুবের স্টিভ গ্রিন ২০১৭ সালে ৫০ কোটি ডলার ব্যয়ে বাইবেল জাদুঘর চালু করেন। এরপর বাইবেল বিশেষজ্ঞরা ডেড সি স্ক্রলের অপঠিত ১৩ টি খণ্ড পড়ার পর এগুলোর বেশ কয়েকটি জাল বলে সন্দেহ প্রকাশ করেন। তারপরই খন্ডগুলো পরীক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে বিবিসি।

বাইবেল জাদুঘর মালিক গ্রিনের এমন বিতর্কে পড়ার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। গত বছর  ইরাক থেকে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন চোরাচালানের অভিযোগে তার কোম্পানি হবি লবিকে ৩০ লাখ ডলার জরিমানা দিতে হয়েছে।